শিশুদের শিক্ষার কথা ভেবে সমাপনী পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

  © টিডিসি ফটো

আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার ধারাবাহিকতার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক শিক্ষা সমপনী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ। এর আগে তাদের ডাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড গেলে তার প্রতিবাদে সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের এক বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বিষয়টি দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম বলেন, কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার কথা বিবেচনা করে এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করায় আমরা আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা আগামী মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। এর মাঝে আমাদের দাবি না মানা হলে কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের পুরো সমস্যার সমাধান না করা হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমের কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া দিবো। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, আমরা তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছি। তারা কিছু জানাননি। এদিকে সরকারের পক্ষথেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের আশ্বাস পেয়েছি। তাই আমরা পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

তারা আরও জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে তাদের ডাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড গেলে তার প্রতিবাদে সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। আর প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। কিছুদিন আগে তারা বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও পালন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন এক হয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ