বেতন গ্রেড নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের যে আশ্বাস দিলেন সচিব

  © ফাইল ফটো

আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার জন্য ফের প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে জোরালো অনুরোধ জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

এসময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কোনো সিদ্ধান্তের কথা না জানালেও আগামীকাল শুক্রবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরের সঙ্গে বৈঠক থেকে একই অনুরোধ আসে। তবে দাবি মানা হলে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলে ওই কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব পাবলিক পরীক্ষা হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষকদেরকে। এসময় শিক্ষকরা আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ চান। জবাবে সচিব এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসা গ্রেড নিয়ে এখনো আগের অবস্থানে সরকার। সে আলোকে প্রাধন শিক্ষকদের ১১ম গ্রেড, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডের কথা বলা হয়। তবে প্রাথমিক শিক্ষকরা যে দাবি জানিয়েছেন তা মানতে হলে নীতিমালার সংশোধনসহ বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে বলে জানান সচিব। অবশ্য শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম জানান, ‘সচিব আমাদেরকে আবারও সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। তবে শুক্রবার আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।’

এর আগে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ২৩ অক্টোবরের মহাসমাবেশে যোগ দেয়ায় প্রাথমিকের ২৭ শতাধিক শিক্ষককে শোকজ করা হয়। এর মধ্যে যশোরের দুই উপজেলায় ১৮শ’ এবং সাতক্ষীরার এক উপজেলায় ৯শ’ শিক্ষক আছেন বলে জানান বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম।

এছাড়া তাকে ও তার প্রতিষ্ঠান ঢাকার উত্তরার ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং কোতোয়ালি থানার ১৪ জনকে একইভাবে শোকজ করা হয়েছে। সূত্রাপুরের একজনকেও শোকজ করা হয়েছে।

কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা আপাতত ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন না। তাদের ১১তম গ্রেডই দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেড। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ উচ্চ পর্যায়ের পদগুলো আপগ্রেড হলে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেওয়া হবে।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার প্রসঙ্গ তোলেন।


সর্বশেষ সংবাদ