নতুন গ্রেড মানবেন না প্রাথমিক শিক্ষকরা, মহাসমাবেশের প্রস্তুতি

  © ফাইল ফটো

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন গ্রেড পরিবর্তনের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। সে অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃজন করা হচ্ছে।

তবে এটি মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। দাবি মানা না হলে আগামী ২৩ অক্টোর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন তারা। সে অনুযায়ী, সব ধরণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা।

আন্দোলন করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন মিলে গঠন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’। এর মাধ্যমে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, গত ১৪ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টা, পরদিন দুই ঘণ্টা ও ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান মুখপাত্র মো. বদরুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘গ্রেড এভাবে দিলে তো তা আমাদের বৈষম্য দূর করছে না। বরং আগে যা ছিলো তা থেকে যাচ্ছে।আমরা কঠোর আন্দোলনেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি।’

পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা এর আগে ১২তম গ্রেডও মানিনি। এখন ১৩তম গ্রেড দেওয়া হলে তা মানার কোনো সুযোগ নেই। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দিতে হবে। এজন্য কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

আন্দোলনের কারণে শিক্ষকরা মামলা-হামলা ও চাকরি হারানোর ভয় পায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যের শিকার হতে হতে শিক্ষকদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আর পিছু হটার সুযোগ নেই।’

তিন স্তুরের নতুন বেতন গ্রেডের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি জানিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০, সহকারীদের ১২তম গ্রেড নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও সহকারীদের ১৩তম গ্রেডের সম্মতি পাওয়া গেছে। আর ১২তম গ্রেডে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃজন করা হবে।’

শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বেতন বাড়ানোর নামে কেউ আন্দোলনে যুক্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। এছাড়া প্রধান শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ ছাড়া ১২তম ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যোগদানের পরই প্রধান শিক্ষকরা ১১তম ও সহকারীরা ১৩তম গ্রেড পাবেন।


সর্বশেষ সংবাদ