আজও ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছে। আজ (১৫ অক্টোবর) মঙ্গলবার দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ২য় দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনঘন্টা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা “বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ”র ব্যানারে দেশের সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা এ কর্মবিরতি পালন করছেন। আগামীকাল ১৬ অক্টোবর তারা অর্ধদিবস এবং ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণাও দেন শিক্ষকরা। বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে শিক্ষকরা ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন এবং মহাসমাবেশ থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন।

প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আনিসুর রহমান বলেন, দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে। সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমরা চাই কর্তৃপক্ষ হুমকি ধমকি না দিয়ে দ্রুত ১১তম গ্রেড ও ১০ম গ্রেডের প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করুন। পাশাপাশি আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। প্রধানমন্ত্রীই পারেন আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে।

প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের কর্মসূচি পালনে বাধ্য করেছে। আমরা শিক্ষকরা দ্রুত সমস্যা সমাধান চাই। প্রধান সমন্বয়ক আতিকুর রহমান বলেন, ২৩শে অক্টোবর মহা সমাবেশ থেকে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। নীতি নির্ধারণী চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ সরকার বলেন, দাবি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ শতভাগ আন্তরিক হোক আমরা এটাই চাই।

প্রধান মুখপাত্র বদরুল আলম বলেন, শিক্ষকদের কর্মসূচির কারণে আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ দ্রুত আমাদের সাথে বসবেন। অন্যতম মুখপাত্র রবিউল হাসান বলেন, আমাদের দাবী যৌক্তিক, তাই সকল শিক্ষকই কর্মসূচি পালন করছেন। প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, আমরা আলোচনার পথ খোলা রেখেছি। তবে বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

 


সর্বশেষ সংবাদ