আন্দোলনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ

  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়ার এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রত্যেক বিভাগীয় উপপরিচালকদের (প্রাথমিক শিক্ষা) দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ পর্যায়ে কোনো ধরণের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীগণ কর্তৃক এ ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা-২০১৮ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় এ ধরণের কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে নির্দেশনায়।

অপরদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষকরা। সে অনুযায়ী, আজ সারাদেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকালও ২ ঘন্টা কর্মবিরতির পালন করবেন তারা। এছাড়া ১৬ ও ১৭ অক্টোবর যথাক্রমে অর্ধদিবস ও পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।

এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ অক্টোবর মহাসমাবেশ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও তারা জানিয়েছেন।

পরিষদের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি বদরুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এবার আমরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছি। ১০ এবং ১১তম গ্রেডের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সারাদেশে একযোগ আজ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। দাবি মানা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন করা হবে।’

শিক্ষকরা জানান, বাংলাদেশের ১৪টি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি পূরণ হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ