বেতন বৈষম্য নিরসনে রিট

হিমালয় সমান বৈষম্য নিরসনের জন্য দীর্ঘ প্রতিক্ষা, অনেক ত্যাগ, এত আন্দোলনের পরও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম ধাপে নির্ধারণের বিষয়টি এখনো সুরাহা না হওয়ায় সকল সহকারী শিক্ষকই হতাশায় নিমজ্জিত।

বস্তুত সংগঠনের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা, কতিপয় নেতাদের আমিত্ব জাহির করা, বৈধ-অবৈধ খেলা, প্রতিটি সংগঠনের সিদ্ধান্ত না জেনে বুঝে মন্তব্য করা, নেতাদের অতি বন্দনা, নেতাদের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়ে চুপ থাকা, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে সংগঠনবিরোধী আখ্যা দেয়া, সংগঠন বা শিক্ষকদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা, অতিরিক্ত ফটোসেশন, পুরাতন সকল নেতাদের ত্যাগকে অবমূল্যায়ন করে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নিয়ে বন্ধনাও বেতন বৈষম্য নিরসনের অগ্রগতির স্থবিরতার অন্যতম কারণ বলে মনে করছি।

সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্যের শুরু ৯.৩.২০১৪ সাল থেকেই। সম্প্রতি সংগঠনের কোন প্রকার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ছাড়া পুল প্যানেল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষকের সাথে আমাদের সংগঠনের কিছু শিক্ষক বাদী হয়ে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। মূলত এই রীট পিটিশনের বিষয়ে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ ওয়াকিবহাল ছিলেন না।

এবং রীটের বাদী এবং আর্জির বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি তাই এখনো অনেকের কাছে রিটের বিষয়টি ধোয়াশা। তাছাড়া, রীটটি ব্যক্তিকেন্দ্রীক ভাবে নাকি সংগঠনিক ভাবে পরিচালিত হবে; এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ১১ তম গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য বার বার কেন্দ্রীয় মিটিংয়ের প্রস্তুতি বিভিন্ন কারণে এখনো পর্যন্ত মিটিং করা সম্ভব হয়নি, যা আসলেই দুঃখজনক।

ইদানিং অনেক শিক্ষক ফোন কল করে এবং মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠিয়ে জানাচ্ছেন যে, কতিপয় ব্যক্তি এবং উনার নাম করে আরো দুই একজন ব্যক্তি রীট পরিচালনার কথা বলে সংগঠনের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে টাকা চাইছেন। যেহেতু এই রীটটি কে বা কারা এই রীট পরিচালনা করবেন এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি; তাই রীটের যদি কোন ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট অথবা হাতে হাতে অথবা ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রদান করেন তার দায়ভার সংগঠন কোনভাবেই নেবে না।

এমতাবস্থায়, কারো প্ররোরচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করার জন্য সকল জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করা হল। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত শেষে আপনাদের অবহিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। (ফেসবুক থেকে)

লেখক: ছাবেরা বেগম
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি।


সর্বশেষ সংবাদ