প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে দিল উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ!

শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে দিয়েছে পার্শ্ববর্তী কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম। সম্প্রতি নিয়ম নীতি উপেক্ষিত সরকারি স্থাপনা ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৩৮ সালে। পরে ওই বিদ্যালয়ে নির্মাণ হয় দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবন। এখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া হতো। সম্প্রতি কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলে। এতে পুরো ভবনটি হয়ে পড়ে পরিত্যক্ত। এখানে বন্ধ হয় ক্লাশ পরিচালনা। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জমির জটিলতার কারণে পাশের কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটি ভেঙেছে। এখন ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র মতে, ওই বিদ্যালয়ের পাশে কয়েকটি দোকান ঘর রক্ষা করতে গিয়ে ভাঙতে হলো কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আলম মুঠোফোনে জানান, এটা ভাঙার আগে রেজুলেশন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামের মৌখিক সম্মতিতে এটা তারা ভেঙে ফেলেছে বলে জানান কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদিন। তিনি বলেন, ওই জমি হাইস্কুলের নামে। হাইস্কুলের ভবন নির্মাণের কারণেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, উভয় বিদ্যালয়ের লোকজনের সম্মতিতেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের পাশে হাইস্কুলের একটি ভবন নির্মাণ হবে। এর পর প্রয়োজনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ নতুন করে তুলে দেয়া হবে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন সরকারি স্থাপনা নিজেদের ইচ্ছে মতো ভেঙে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ