সব স্কুলের শিশুরা পাবে দুপুরের খাবার

  © সংগৃহীত

২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাইমারি স্কুলে শিশুদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘মিড ডে মিল’ এর দুপুরের খাবার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমানে দেশের ১০৪টি উপজেলায় শুকনো ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। এর বদলে শুধু শুকনো খাবার দেয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সরকার।

প্রতিটি শিশুর জন্য দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা। এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে ৯৩টি উপজেলায় ৩২ লাখ শিশু উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিস্কুট পায়। এ কর্মসূচি দাতা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হলেও কোথাও কোথায় অভিভাবকেরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে চালু করেছে ‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি। এতে দুপুরে খুদে শিশুদের খাবার নিশ্চিত হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই রয়ে যাচ্ছে কর্মসূচির বাইরে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কয়েকটি গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সারা দেশের প্রধান শিক্ষক এবং অফিসারদের বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের মধ্যে সমস্ত স্কুলের বাচ্চাদের তার বাবা-মায়েরা খাবার দেবে। সরকারের কোনো খাবার দিতে হবে না। সরকারের খাবার আজ আছে, আরেক সরকারে এসে বলবে দেবে না। বিশ্বব্যাংকও হয়তো একদিন দেবে না।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বলবো তোমার বাচ্চার দুপুরের খাবারটা টিফিন বাটিতে করে স্কুলে পাঠিয়ে দাও। বাচ্চারা যেন অভুক্ত না থাকে। টিফিন বাটির সঙ্গে ছোট পানির বোতল থাকবে, বাবা-মায়েরা তা নিশ্চিত করবেন।

শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও স্কুলে খাবার নিয়ে আসবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে খেলে সবাই উৎসাহিত হবে।

প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় ফুলবাড়ি ও পার্বতীপুরের অভিভাবকদের দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, প্রথমে একটি স্কুলে মায়েরা শুরু করে। পরবর্তীতে থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সব থানায় নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়ার পর বাস্তবায়ন হচ্ছে দু’টি থানায়।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জেলায় জেলায় গিয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজেই উদ্বুদ্ধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সমাবেশের পর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সমাবেশ করা হবে। ‘জোর করে নয়, উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সারা দেশে এটি বাস্তবায়ন করতে চাই।’

স্কুলে শিক্ষকেরা গ্রামে-শহরে দলবেঁধে মায়েদের কাছে গিয়ে দুপুরের খাবার স্কুলে পাঠানোর বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করলে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।


সর্বশেষ সংবাদ