গর্ত ও খানাখন্দে ভরা বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ‘শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রবেশ মুখ যেন দুর্ভোগের অপর নাম। বর্ষাকালে এ দুর্ভোগ হয়ে যায় বর্ণনাতীত। গর্ত ও খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি যদিও আগারগাঁওয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর একটি।

এছাড়াও বিদ্যালয়টি ঘেঁষে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। উত্তর দিকে রয়েছে বাংলাদেশ বেতার ভবন, দক্ষিণে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পূর্বে সরকারি আবাসিক এলাকা এবং পশ্চিমে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কার্যালয়।

সঙ্গত কারণেই এ রাস্তা ধরে বহু মানুষের যাতায়াত। কিন্তু রাস্তায় খানাখন্দের কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার ফলে প্রতিদিনই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ ও সামনের রাস্তায়। ইট বিছিয়ে ছাত্রীরা চলাচলের চেষ্টা করলেও প্রায়ই কেউ না কেউ পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে অথবা তাদের স্কুলড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার প্রতিদিন তীব্র যানজটের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে কিংবা পরীক্ষা হলে ঠিক মতো পৌঁছাতে পারছে না।

রাস্তাটির এ বেহাল অবস্থা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির গণিতের শিক্ষক নার্গিস ফারহানা বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের পরিবেশ কখনই এমন হওয়া উচিত নয়। তিনি দ্রুত এ রাস্তাটির মেরামত দাবি করেন এবং এ রাস্তায় ভারি যান চলাচল বন্ধের দাবি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সৈয়দা জিন্নাতুন নূর বলেন, যেহেতু এটা বাচ্চাদের স্কুল, তাই এর প্রবেশপথ নিরাপদ ও সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে প্রায়ই কোমালমতি মেয়েরা স্কুলে ঢুকতে ভোগান্তিতে পড়ে যা কারো কাম্য নয়। এ রাস্তায় যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও যানচলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করার দাবিও জানান তিনি।

বিদ্যালয় প্রবেশ পথ

কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিভিন্ন সময়ে ঢাকার অনেক রাস্তার সংস্কার হলেও গত কয়েক বছরে বিদ্যালয়টির সামনের রাস্তাটির কোনো সংস্কার হয়নি। গত বছর বর্ষাকালে কয়েকজন অভিভাবক নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারী ও মাত্রাতিরিক্ত যান চলাচলের জন্য তা ফলপ্রসু হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ