১১তম গ্রেড যে কোন সময় দেওয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী (ভিডিও)

  © ফাইল ফটো

১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালনের কথাও জানিয়েছেন তারা। তবে প্রাথমিক শিক্ষকদের সেই দাবি সম্ভবত এবার পূরণ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

১১তম গ্রেডের ইতিহাস আজকের নয়, বেশ পুরনো। সময়টা ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ সাল। বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে টানা কয়েকদিন অনশনের পর এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৪০জন প্রাথমিক শিক্ষক। যাদের মধ্যে ১৭ জনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সে সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান। অনশন ভাঙিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, ‘দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব সমস্যার সমাধান হবে। আপনারা ফিরে যান।’

আন্দোলন ও মন্ত্রীর ওই আশ্বাসের পর প্রায় বছর কেটে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে নতুন মেয়াদে, বদল হয়েছে মন্ত্রীত্ব; পরিবর্তন হয়েছে প্রাথমিক অধিদপ্তরের অন্য সব পদও। কিন্তু সহকারি শিক্ষকদের ভাগ্যের চাকা ঠিক ঘোরেনি। নতুন ডেডলাইন ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ। এর আগে সহকারী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সচিব আকরাম-আল-হোসেন জানান, নিয়োগ যোগ্যতা উন্নীত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার বেতন গ্রেডও উন্নীত হবে। তবে তা মুজিব বর্ষ থেকে অর্থাৎ ২০২০ সালে ১৭ মার্চের মধ্যে। এ সময়ের মধ্যে কোনো প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হবে না বরং আগামীতে সহকারীরা শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের পদে উন্নীত হবেন।

আর আজ ২৫ জুন বেসরকারি টেলিভিশন ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলছেন, ১১তম গ্রেডের বিষয়টি নিয়ে ৮০ ভাগ কাজ অগ্রগতি হয়েছে, যে কোনো সময় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। অচিরেই এটি দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দুই ধরণের শিক্ষক রয়েছেন- ১. প্রধান শিক্ষক ২. সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে পাঠদানের মূল কাজটি করেন সহকারী শিক্ষকেরা। অথচ বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন গ্রেডের পার্থক্য চার ধাপ। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে (১৬০০০ টাকা স্কেলে, কোর্টের রায় অনুসারে যেহেতু বকেয়াও পাবেন) এবং সহকারী শিক্ষকেরা বেতন পান ১৪নং গ্রেডে (১০২০০ টাকা স্কেল)।

ইনডিপেনডেন্ট টিভির সৌজন্যে ভিডিওটি দেখুন:

 


সর্বশেষ সংবাদ