প্রাথমিকের ১২৪ বিদ্যালয় পরিদর্শনে কর্মকর্তা মাত্র ১ জন!

  © লোগো

নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৫টি ক্লাষ্টারে ১২৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য মাত্র ১ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন। ফলে প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে একদিকে যেমন অফিসের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে মাঠ পর্যায়েও বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে বিদ্যালয় গুলোতে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, একজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ৬ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, ১ জন উচ্চমান সহকারী, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন হিসাবরক্ষক ও ১ জন এমএলএসএস (পিয়ন)পদের বিপরীতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও একজন উচ্চমান সহকারী, একজন হিসাব সহকারী কর্মরত রয়েছে।

এছাড়া দু’জন অফিস সহকারীসহ চতুর্থ শ্রেণীর কোন কর্মচারী নেই দীর্ঘদিন ধরে। ৫ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় অন্য একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে মাঠ পর্যায়ের কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

যার কারণে বিদ্যালয় পরিদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্লাষ্টার ট্রেনিং এবং শিক্ষকদের হাজিরার বিষয়টি তদারকি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ৪ জন অফিস সহকারীর স্থলে মাত্র ২ জন কর্মরত থাকায় এর দুরাবস্থার প্রভাব পড়ছে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অফিস সহকারী না থাকায় বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিক্ষকরা।

এ উপজেলায় ১২৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। যারমধ্যে শিক্ষক স্বল্পতা ও আসবাবপত্রের অপ্রতুলতাসহ নানা সমস্যা রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু তদারকি না থাকার সুযোগে কতিপয় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে অনেকটা গা ছাড়া ভাবে। এর খেসারত দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, প্রতিটি ক্লাস্টারের একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও কর্মকর্তার অভাবে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এবিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের টিম দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।


সর্বশেষ সংবাদ