বাড়ি বাড়ি প্রশ্ন পাঠিয়ে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়: প্রাথমিক ডিজি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ  © ফাইল ফটো

১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললেও বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংসদ টিভির মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে দুই মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালু হচ্ছে না। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি কমাতে সংসদ টিভি এবং অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এপ্রিল মাসে হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত রয়েছে। স্থগিত হতে পারে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষাও। তবে অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাছে প্রশ্ন দিচ্ছেন। সেই প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষাও দিচ্ছেন। শিক্ষকরা খাতাও মূল্যায়ন করছেন। তবে এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করবে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যালয় না খুললে পরীক্ষা হবে কীভাবে? অনেক জায়গায় শিক্ষকেরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে প্রশ্ন পাঠিয়ে মূল্যায়ন করছেন। তবে এটা বাধ্যতামূলক করা হবে না। কারণ, এভাবে জাতীয় মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘গত ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় বসে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হতে পারে।’

পরীক্ষার প্রশ্ন এবং খাতা মূল্যায়ন সম্পর্কে আকরাম-আল-হোসেন আরও বলেন, টেলিভিশনে যেসব বিষয়ে পাঠদান হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন প্রণয়ন করবেন। সেসব প্রশ্ন নির্ধারিত ভলেন্টিয়ারদের (স্বেচ্ছাসেবী) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হবে। ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে উত্তরপত্রগুলো শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে ভি‌ডিও কনফারেন্সে এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি।