করোনা সংকট

জুনে খুলছে না স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়

  © ফাইল ফটো

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) করোনা বিস্তার রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও একদফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত করেছে সরকার। তবে সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। এদিকে, বন্ধ থাকা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জুন মাসেও খুলছে না।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সে আদেশ পালন করব। ১৫ ‍জুনের পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা দেখে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও করোনা আতঙ্কে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন না বলেও শঙ্কা তাদের। তাই করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলারই চিন্তাভাবনা তাদের।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জুন পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ছুটি রয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, ১৫ জুনের পর করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ করোনাভাইরাসের যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, তাতে পুরো জুন মাসকেই টার্নিং পয়েন্ট বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এ মাসে স্কুলে খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে- এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে ভি‌ডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা জানিয়েছিলেন।