‘মাদকাসক্ত ও বিবাহিত’ বিপ্লব কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি

  © সংগৃহীত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার মানুষ যার নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন, তার নাম পারভেজ হোসেন বিপ্লব। যার বিরুদ্ধে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডই নয়- এলাকায় চিহ্নিত ইয়াবাসক্ত এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। সেই পারভেজ হোসেন বিপ্লবকেই বানানো হয়েছে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি।

সম্প্রতি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে করে সংসারও পেতেছেন তিনি। অনেকেই তার বিয়ের দাওয়াত খেয়েছেন। অথচ এই বিবাহিত, মাদকাসক্ত ও বিতর্কিত বিপ্লবকে থানা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

গতকাল বুধবার মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদের সই করা এক চিঠিতে এক বছরের জন্য পারভেজ হোসেন বিল্পবকে সভাপতি ও এম এইচ মাসুদ মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই কমিটি ঘোষণার পর পরই কামরাঙ্গীরচর নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোটা অংকের টাকা খেয়ে একজন ভয়ংকর ক্যাডার, মাদকাসক্ত, বিবাহিত অছাত্রকে থানা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের আইন ভঙ্গ করে ত্যাগী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করে শুধু অর্থের লোভে এই পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট হাজারীবাগ এলাকার ভাগলপুর লেনের বাবুল মিয়ার একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করেন বিপ্লব। ওই বিয়েতে উকিল দেয়া হয় ৫৬ নম্বার ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আলীফ হোসেনকে।

মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করার বিষয়ে আমার ভূমিকা ছিল। কিন্তু বিপ্লবের বিষয়ে মেহেদী হাসান পীড়াপীড়ি করেছেন এবং উপর থেকে চাপ ছিল। এখন আমরা কী করব। বিষয়টি নিয়ে মেহেদীর সঙ্গে কথা বলেন।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচর থানায় তিনজন প্রার্থী ছিল, তিনজনই বিবাহিত বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল এবং সাজানো ছবি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। বিবাহিত হওয়ার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। এই তিনজনের বাইরে কেউ প্রার্থী ছিল না বলেই বানিয়েছি।’

 


সর্বশেষ সংবাদ