দিল্লির সহিংসতার ইস্যুতে নুরের স্ট্যাটাস

২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ট্রেনের আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে এই মোদিই তখন সেখানে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে মুসলিমের উপর পরিকল্পিত নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে তার উগ্র গেরুয়া আরএসএস সন্ত্রাসবাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গরু ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা চালাচ্ছে।

এবার এনআরসি, সিএএ’র এর নামে পুরো ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে মুসলিমদের ঘর-বাড়ি, মসজিদে আগুন, সম্পদ লুন্ঠন ও হত্যাকান্ডের মাধ্যমে মূলত মুসলিম দমন করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদের সাম্প্রদায়িক মোদী সরকার ।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার দাবিদার আওয়ামী লীগ মোদির মতো একজন সাম্প্রদায়িক ঘৃণ্য ব্যক্তিকে (যিনি নিজ দেশেই ফ্যাসিস্ট ও সাম্প্রদায়িক হিসেবে পরিচিত) মুজিব বর্ষের মতো তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা করে!

এদেশের মানুষের কাছে এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? এটি কি আওয়ামী লীগের ভারত তোষণের বহিঃপ্রকাশ! অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের সাম্প্রদায়িক মোদির সমর্থন লাগতে পারে, এদেশের সাধারণ জনগণের নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, দেশের জনগণ যদি একবার জেগে ওঠে মোদিরা শত চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারবে না। সুতরাং মোদিদের তোষণ নয়, জনগণের সমর্থন নিন।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক মোদির ঠাই হবে না এটাই আমাদের সাফকথা। অতএব, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মতো পবিত্র অনুষ্ঠান মুজিববর্ষে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক মোদিকে এনে মুজিব বর্ষের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ভুলুণ্ঠিত করবেন না, দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিবেন না। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)


সর্বশেষ সংবাদ