মুজিববর্ষের নামে চাঁদাবাজির দোকান খোলা যাবে না: কাদের

  © সংগৃহীত

মুজিববর্ষ পালনের নাম করে চাঁদাবাজির মতো কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীরআয়োজন নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সততার আলোকে নিজেকে পরিশুদ্ধভাবে বিকশিত হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, মুজিব বর্ষের নামে যে তোড়জোর দেখছি, তাতে চাঁদাবাজি যেনো না হয়। বঙ্গবন্ধুকে তাহলে আরো ছোট করা হবে।’ মুজিববর্ষ উদযাপন করবেন একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে। মুজিববর্ষ পালন করার নামে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মুজিববর্ষ পালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। বিরোধীপক্ষকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটা ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম। তাদের মধ্যে ঐক্য আছে। আমাদের দলে সুবিধাবাদী আছে, তারা আওয়ামী লীগে থেকে বিএনপির জন্য কাজ করে, বিএনপিকে ভোট দেয়। আমাদের সামান্য ভুলে বিরোধীপক্ষ সুযোগ নিতে পারে, তাই আমাদের মুজিববর্ষ পালনে সতর্ক থাকতে হবে। কাজেই এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, জেলায় জেলায় আপনারা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলীয় ও সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আপনাদের প্রোগ্রাম সাজাতে হবে। যেখানে সেখানে, যত্রতত্র চাঁদাবাজি করে বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিববর্ষের একটা দোকান খোলা হবে, এটা কেউ অ্যালাউ করবেন না। কোনো অবস্থা অনিয়ম বিশৃঙ্খলাকে মদদ দেয়া যাবে না। যারা এগুলো করবে তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিতে হবে।

আগামী এপ্রিল থেকে দলের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, যেখানে কমিটি হয়ে গেছে সেসব জায়গায় কমিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। কমিটিতে নিজের দল ভারী করতে ত্যাগীদের উপেক্ষা সুবিধাবাদীদের দলে না ভেড়াতে সতর্ক করে দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ত্যাগী ও যোগ্যদের দলে পদ দেবেন। সংগঠনের স্বার্থ দেখবেন। সুবিধাবাদীদের বিষয়ে নজর রাখতে হবে। দলের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে দলকে দুর্বল করা যাবে না। দল বিতর্কিত হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। দলের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে রেখে দলকে শক্তিশালী করা যাবে না। নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য দলকে শক্তিশালী করতে হবে। দল শক্তিশালী হলে সরকার শক্তিশালী হবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ