জাতির পিতার আদর্শ থেকে ছাত্রলীগকে শিক্ষা নিতে হবে: শেখ হাসিনা

  © ফাইল ফটো

ছাত্রলীগকে জাতির পিতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোন লক্ষ্য কাজ করে অসাধ্য সাধন করা যায়। তাই এ বিশ্বাসটাটা আনতে হবে। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা সবসময় একটা লক্ষ্য আদর্শ সামনে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে চলার পথে কখনও তিনি লক্ষ্য বিচ্যুত হননি। কিন্তু অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগের ‘লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রম শুরুর আগে ফোনে কথা বলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানের মুঠোফোনে কল করে প্রায় ৫ মিনিটের মত কথা বলেন তিনি। এরপর লিডারশীপ ওরিয়েন্টশনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আব্দর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভপতি আল নাহিয়ান খান জয়। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক রাজনীতি থেকে শুরু করে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের পথচলা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিহাস জানতে হবে। জাতির পিতার আত্মজীবনীও জানতে হবে। আর মানুষ যদি কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ তাহলে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা যায়। তাই এ বিশ্বাসটাটা আনতে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা সবসময় একটা লক্ষ্য আদর্শ সামনে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে চলার পথে কখনো তিনি লক্ষ্য বিচ্যুত হননি। কিন্তু তাকে অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়। সেই পথে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার পরম্পরা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ জাতির পিতার উপর লিখিত বইগুলো পড়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, ছাত্রলীগের ‘লিডারশিপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, আমি মনে করি, দেশের মানুষ এই উন্নয়নের যে চিত্র এবং উন্নয়নের যে সুফল তারা ভোগ করছে সেই কারণে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোনীত প্রার্থীকেই তারা ভোট দেবে এবং নৌকা মার্কাকেই বিজয়ী করবে।

সিটি নির্বাচনে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন, এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এটা নেহাতই রাজনৈতিকভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা অপচেষ্টা মাত্র। নির্বাচনের এই পর্যন্ত এই ঢাকা সিটির কোথাও কোনো জায়গায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে নালিশ কিংবা অভিযোগ জানানোর মতো কারণ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষেও থেকে হয়নি এবং যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের পক্ষ থেকে এমন কোনো বিষয় বা ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রমাণ করার মতো কোনো কারণ তাদের হাতেও নেই। সুতরাং এটা শুধু রাজনৈতিক অভিযোগ। এ অভিযোগ আমাদের আমলে নেওয়ার কারণ নেই।

পূজার দিনে নির্বাচন নিয়ে একটা বিব্রতকর অবস্থা এমন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, সেটি আমাদেরকেও বিব্রত করছে এবং আমরাও আজকে যারা ছাত্ররা দাবি করছে তাদের সঙ্গেও সহমত পোষণ করি। সে বিষয়টিকে যদি এড়িয়ে যাওয়া যেত তাহলে এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে আমরা সকলেই মুক্তি পেতাম। কিন্তু আসলেই তারিখের গোলমাল হয়েছে পঞ্জিকা দেখে।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি তারা উচ্চতর আদালতে যাবে। সুতরাং আদালতের রায়ের অপেক্ষা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আদালতের রায় পর্যন্ত তাদের ধৈর্য ধরা উচিত। আমার মনে হয়, আদালতক তার সুবিবেচনাপ্রসূত যে রায় ঘোষণা করবে তার প্রতি আমরা সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকব।


সর্বশেষ সংবাদ