নূরু ভাই ম্যানেজার, আমার মজুরি ছিল দুইশ টাকা: প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ছাত্রজীবনে একটি বেসরকারি কোম্পানীতে দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে চাকরি করতেন। আর ওই কোম্পানি ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে সম্প্রতি ফেসবুকে আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এমন তথ্য দিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার আসাদুজ্জামান নূর ডা. এনামুর রহমানের কার্যালয়ে যান। প্রিয় নেতাকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এগিয়ে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূরের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন ডা. এনামুর। এ সময় আসাদুজ্জামান নূর তাকে বুকে টেনে নেন।

ছাত্রজীবনে রোজগারের আবেগঘন স্ট্যাটাসে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘তখন আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। বাবা নেই। মা, চার ভাই, তিন বোন। সন্তানদের মধ্যে আমি সবার বড়। টানাটানির সংসার। তার ওপর মেডিকেলের বই পত্র কেনা। অনেক খরচ। শেষমেষ বাড়তি রোজগারের আশায় শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ নিলাম একটা মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে। ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।

চট্টগ্রাম শহরে দোকানে দোকানে ঘুরি। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের নতুন তিনটা মোড়ক- এর মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দের তা নিয়ে জরিপ করি। প্রতিদিনের মজুরি মাত্র দুইশ টাকা। আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অল্প কিছুদিনের মাথায় মজুরি বেড়ে দাঁড়াল দিন প্রতি চারশ টাকা। জীবনের প্রথম উপার্জন। বেশ চলে যেত।

সংসার চালানো থেকে ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ- মোটামুটি চলনসই পর্যায়ে নিয়ে এলাম নিজের পরিবারকে। সে সময় নূরু ভাই ছিলেন ওই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এই কথা এজন্য বলছি যে, আজ অপরাহ্ণে মন্ত্রণালয়ে আমার অফিস কক্ষে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় নূর ভাই। আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রিয় অভিনেতা,সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নীলফামারী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য।

প্রথম দর্শনেই পা ছুঁয়ে সালাম করতেই আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন তিনি। বললেন, এনাম তুমি যেভাবে অতীতের কথা মনে করো,এই সময় এমনটা কেউ করে না! সবাই অতীত ভুলে যায়। আচ্ছা। আমি কেন ভুলবো? আমরা অতীতটাই তো আমার অহংকার আর গৌরবের। তাই না!’


সর্বশেষ সংবাদ