একই বিন্দুতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একই বিন্দুতে অবস্থান নিয়েছে তারা। উভয়েরই আশঙ্কা, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে বুয়েটে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে ‘অন্ধকারের শক্তিরাশি’।

ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের বাইরে বুয়েট ক্যাম্পাসে অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনের শাখা কমিটি নেই। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগের কার্যক্রম দৃশ্যমান।

ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না। তাই নিজেদের বুয়েট শাখা কমিটিও তাঁরা ভাঙবেন না। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেখানে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সংগঠনগুলো সুযোগ নেবে। এর ফলে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা সেখানে হুমকির মুখে পড়বে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলছেন, বুয়েটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার মধ্যে তার কোনো সমাধান নেই। ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোকে বিদায় করার দাবি উঠতে পারে, কিন্তু ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। নাহিয়ান বলেন, ‘সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিগগিরই বুয়েট প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হবে। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেখানে অন্ধকারের শক্তি, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর গোপন তৎপরতার শক্তিবৃদ্ধি হবে, যা দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনেরও আশঙ্কা, স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে বুয়েটে ‘অস্বাভাবিক’ রাজনীতির বিস্তার ঘটবে। এই বিষয়টিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে একাত্মতা জানালেন ইকবাল। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত বুয়েট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে, তা আমরা মানি না। বুয়েটে আমাদের যে কমিটি রয়েছে, তা ভাঙা বা বিলুপ্ত করার প্রশ্নই আসে না। কমিটি তখনই ভাঙা হবে, যখন নতুন কমিটি দেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ