মতিঝিলের ক্লাবগুলোতেও অভিযান, কর্মীদের পাহারায় সম্রাট

রাজধানীর মতিঝিলে ক্লাবপাড়ায় চারটি ক্লাবে অভিযান পুলিশি। ক্লাবগুলো হল- মোহামেডান ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোটিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া ক্লাব। রোববার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশি এমন অভিযানের মধ্যেও কাকরাইলের রাজমণি সিনেমা হলের সামনে ভূঁইয়া ম্যানশনে শতাধিক যুবকের পাহারায় রয়েছেন ‘ক্যাসিনো সম্রাট’।

যদিও এর আগে গুঞ্জন ছিল সম্রাটকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো যুবলীগের এ নেতার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালানো হয়নি।

ভবনটির সামনে রাখা রয়েছে সারি সারি মোটরসাইকেল। রাত যত গভীর হয়, পাহারারত যুবক ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা তত বাড়ে। এসব তরুণ-যুবকের সবাই আওয়ামী যুবলীগের কর্মী। ভূঁইয়া ম্যানশন নামের এ ভবটিতে বসেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।

জানা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ছিল। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন।

তবে সম্রাট নিজে সরাসরি ক্যাসিনো দেখাশোনা করতেন না। তার ক্যাসিনো চালাতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো.আবু কাওসার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। তারাই এক বছর আগে পল্টনের প্রীতম-জামান টাওয়ারে ক্যাসিনো চালু করেন। পরে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাসিনোর দুই হোতা আবু কাওসার ও মমিনুল হক এখন বিদেশে রয়েছেন। যুগলীগের ক্যাসিনো খালেদকে গ্রেফতারের পর সম্রাট বুধবার থেকে নিজের কার্যালয়েই অবস্থান করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ