ছাত্রদলের সভাপতি খোকন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল

খোকন ও শ্যামল
খোকন ও শ্যামল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে ফজলুর রহমান খোকন এবং ইকবাল হোসেন শ্যামল। বিএনপির এ সহযোগী সংগঠনটির কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নেতৃত্বে আসলেন তারা।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ‍সূত্র জানায়, ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৮১ জন। এর মধ্যে ১৮৬ ভোট পেয়ে ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খোকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ পেয়েছেন ১৭৮। অন্যদিকে ১৩৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শ্যামল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিরুল ইসলাম জাকির পান ৭৮।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত সভাপতি খোকনের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি বিদায়ী কমিটির গণশিক্ষা সম্পাদক ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের বাড়ি নরসিংদীতে। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা। 

খোকন ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করেন। ২০০২ সালে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০৮ সালে অর্নাস এবং ২০১০ সালে মার্স্টাস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত আছেন। 

শ্যামল ২০০৩ সালে নরসিংদী থেকে এসএসসি, ২০০৫ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০০৫-২০০৬ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে অনার্স এবং ২০১০ সালে মাস্টার্স শেষ করেন। বর্তমানে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রফেশনাল মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাড়িতে বুধবার রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সারাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলররা টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা নীল ও সবুজ ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে সম্পন্ন হয় ভোট গ্রহণ।

তবে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ফলে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে তীব্র গরমের মধ্যে কাউন্সিলররা ভোট দেন। চালু করা হয় জেনারেটর। অবশ্য ঘণ্টা খানেক পর আবারও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচনের কাজটি করেছি। বিরতি ছাড়াই টানা ভোট হয়েছে।’

এদিকে এর আগে বিকালে সংগঠনের নির্দেশনায় ছাত্রদলের কাউন্সিলররা ঢাকাসহ সারা দেশে থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে জড়ো হন। পরে সন্ধ্যায় কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তবে একদিন নোটিশের কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সব কাউন্সিলর ঢাকায় আসতে পারেনি বলে জানা গেছে। 

ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা  ছিলেন, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, মো. ফজলুর রহমান খোকন, এসএম সাজিদ হাসান বাবু, এবিএম মাহমুদ আলম সরদার, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি,ও মোহাম্মদ মামুন বিল্লাহ।

সাধারণ সম্পাদক পদে- মো. আমিনুর রহমান আমিন, শাহ নাওয়াজ, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, শেখ আবু তাহের, সাদিকুর রহমান, কেএম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, মো. জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), মো. হাসান (তানজিল হাসান), মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখমো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম। 


সর্বশেষ সংবাদ