টাকা না দেয়ায় ছাত্রলীগের কমিটি প্রত্যাখ্যান সভাপতি-সম্পাদকের

  © টিডিসি ফটো

দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গঠন করা কমিটি প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ উঠেছে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরে নাটোরে জেলা ছাত্রলীগ উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম রবিবার দুপুরে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটিতে নাজমুল হাসান নাহিদকে সভাপতি, ফজলে রাব্বিকে সহ-সভাপতি, শিহাব মাহাম্মুদ সজলকে সাধারণ সম্পাদক ও লালন বাদশা সোহাগকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগ অভিযোগ করেছে স্থানীয় এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে অছাত্র, মাদকসেবী ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছেলেদের দিয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরআগে শনিবার দুপুরে উপজেলা চত্ত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। উপজেলা জিমনেসিয়ামে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মুকুল সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদিজা বেগম শাপলা, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান রিংকু, বাগাতিপাড়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নাসিম মাহমুদ, লালপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টুসহ দুই উপজেলার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে আতিক হাসান বিদ্যুৎকে সভাপতি ও শহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ঠ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এসব বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেছেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস্ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম প্রতিটি উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটি টাকা নিয়ে গঠন করেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের চাহিদা মতো দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় আগের রাতে সম্মেলন স্থগিত করতে বলেছিল।

সভাপতি আতিক হাসান জানান, দাওয়াতপত্র বিতরণ ও প্যান্ডেল তৈরিসহ সকল প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর সম্মেলনের আগের রাতে ফেসবুকের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগ সম্মেলন স্থগিত করার জন্য নির্দেশনা দিলেও সেটা মানা সম্ভব হয়নি।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাবিকুল হাসান জেমস বলেছেন, সম্মেলন বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল ছাড়া কারো সাথে তাদের কোন কথা হয়নি। ছাত্রলীগের কোন পদপ্রার্থীর সাথেও নয়, ফলে টাকা চাওয়ার দাবি একেবারেই মিথ্যা।


সর্বশেষ সংবাদ