পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন শোভন-রাব্বানী

  © ফাইল ফটো

সম্প্রতি নানা বিতর্ক ও সমালোচনা আর অভিযোগে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সংগঠনটির দুই র্শীর্ষ নেতার পদত্যাগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের বিষয়টি আলোচনায় উঠলে শোভন-রাব্বানীর পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।

ওয়ার্কিং কমিটির সভা শেষে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তবে যে কমিটি আছে সেটা থাকবে। সেক্ষেত্রে সভাপতির জায়গায় প্রথম সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের জায়গায় প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ‘ভারপ্রাপ্ত’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরাই পরবর্তী সম্মেলনের প্রস্তুতি নিবে।

প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ছাত্রলীগ যে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ছিলো তা ভেঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজেই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেন। এতে করে অনেকটা স্বাধীনভাবেই তারা ছাত্রলীগ পরিচালনা করতে পারতেন। কারণ প্রথম থেকেই ‘নেত্রীর কমিটি’র এই নেতার বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা ছিল। যার ফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী কেউ চাইলেই ছাত্রলীগে সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাননি।

তারা ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর চাওয়া অনুযায়ী ‘নতুন ধারায়’ ফিরিয়ে আনবেন এমন প্রত্যাশা ছিল সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন তারা। সংগঠনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মাফ পেলেও এবার আর তা হয়নি।

দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা দাবি করেন, বর্তমান সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে শীর্ষ দুই দায়িত্ব দেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ