বিবাহিত কেউ নির্বাচন করতে পারবে না

আগামী ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কাউন্সিল নির্বাচনে প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ইতোমধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০১৯ উপলক্ষে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার বিকালে ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এ তালিকা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ছাত্রদলের ওয়েবসাইটে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং কার্যালয়ে তা টানিয়ে দেয়া হয়। তালিকার সঙ্গে প্রার্থীদের আচরণবিধি এবং যোগ্যতাও প্রকাশ করা হয়। 

প্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে— প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাশ হতে হবে। তবে রেজিষ্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট ও রেজিষ্ট্রেশন কপি জমা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে নূন্যতম স্নাতক পাশ হতে হবে এবং পাশের সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রমাণের জন্য সকল সার্টিফিকেটের মূলকপি সঙ্গে আনতে হবে।

এছাড়া প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে প্রাথমিক সদস্য সাবেক অথবা বর্তমান পদের প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী কাস্টিং ভোটের ১০ শতাংশ ভোট না পায় তাহলে পরবর্তী কমিটিতে কোনোভাবেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। প্রত্যেক প্রার্থীকে অবশ্যই সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৫ কপি রঙ্গিন ছবি সত্যায়িতসহ দাখিল করতে হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচনের আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে- প্রত্যেক প্রার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে হবে। কোনো ভাবেই প্যানেল দেয়া যাবে না। কোনো প্রকার পোস্টার, ব্যানার এবং গণমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ আপ্যায়ন বা কোন ধরণের উপহার সামগ্রী দেয়া যাবে না। গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার, সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে কোনো প্রার্থী অংশ গ্রহন করতে পারবে না।

প্রার্থীগণ ভোট প্রার্থনার জন্য শুধুমাত্র ভিজিটিং কার্ড বা সাদাকালো এ ফোর সাইজের লিফলেট ব্যবহার করতে পারবেন। নির্বাচনের দিন প্রার্থীগণ অথবা তার কোন সমর্থক কোনো প্রকার মিছিল, সমাবেশ, প্লে-কার্ড, শ্লোগান ভিজিটিং কার্ড এবং লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করতে পারবেন না। কোনো প্রার্থী যদি উল্লিখিত আচরণবিধি লংঘন করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ