৪৮-এ পা দিলেন জয়া আহসান

  © সংগৃহীত

আজ ১ জুলাই (বুধবার) দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন। এ বছর ৪৭ থেকে ৪৮ বছরে পা রাখলেন তিনি। জন্মদিনে বন্ধু-সহকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় ভাসছেন জয়া। জয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন তার ভক্তরা।

১৯৭২ সালের ১ জুলাই জয়া জন্মগ্রহণ করেন গোপালগঞ্জে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।

জয়া আহসানের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এর ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে ‘এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। গেরিলায় বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।

একই চরিত্রের জন্য ২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন এই শিল্পী।

‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এর জন্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

জয়া আহসান ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন কলকাতার ছবিতে। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘আবর্ত’তে তার বিপরীতে ছিলেন আবীর চ্যাটার্জি। একই বছর বাংলাদেশের সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’তে অভিনয় করেন। এতে প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান। ২০১৪ সালে মারুফ হাসান পরিচালিত ‘পারলে ঠেকা’, ২০১৫ সালে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘জিরো ডিগ্রি’, কলকাতার ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’, ২০১৬ সালে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি ২’, অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ঈগলের চোখ’, ২০১৮ সালে সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘পুত্র’, বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত নারীবাদী চলচ্চিত্র ‘ক্রিসক্রস’, নিজের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘দেবী’, কৌশিক গাঙ্গুলির ‘বিজয়া’ এবং সর্বশেষ নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘কণ্ঠ’ ছবি দিয়ে বাজিমাত করেন জয়া আহসান।

জয়া আহসান এ পর্যন্ত চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০টি মনোনয়ন থেকে ৭টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও ৩টি মনোনয়ন থেকে ২টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ