যে কারণে আলোচিত ছিলেন সাবেক সাংসদ মকবুল (ভিডিও)

  © ফাইল ফটো

সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেনকে তাঁর ছেলের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ১১টায় মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে ছেলে মাসুদুর রহমানের পাশের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গতকাল রবিবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

২০১৮ সালে রাজধানী বেসরকারি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের এক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনায় ছিলেন সাবেক এই সাংসদ। ওই সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে মাথার খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম মকবুল হোসেন।

এদিকে, গতকাল রবিবার তার মৃত্যেুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাই সেই হুমকির বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে। শাহা আলম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের মারা যাওয়ার খবরের লিংকগুলোতে ৯০ ভাগ কমেন্ট উল্লাসের। কি করলেন সারাজীবন রাজনীতি করে? আপনাদের মৃত্যুতে মানুষ ব্যতিত না হয়ে উল্লেসিত হয়। নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিবে কী?’

মহিউদ্দিন কাসেমী নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হাজী মকবুল মারা গেছেন। মেডিকেল ছাত্রদের "খুলি উড়িয়ে দিতে চাওয়া" সেই আলোচিত সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব মকবুল হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। ওনার স্ত্রীও শমরিতা হাসপাতালে করোনায় চিকিৎসাধীন।’

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি বেতন বৃদ্ধি বন্ধসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নামা এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সে সময় আলোচানায় এসেছিলেন তিনি।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে আন্দোলন করলে ওই সাংসদ ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এসময় তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘ধর্মঘট করলে তাঁর কোনো সমস্যা হবে না। বেশ কটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনিও বন্ধ করে দেবেন। আমার সঙ্গে সরকার একাত্মতা প্রকাশ করেছে। যারা ইতরামি করবে, খুলি উড়াইয়া দেবে।’

এ রাজনীতিবিদ ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া তিনি মোহাম্মদপুরে নিজের নামে একটি কলেজসহ গড়ে তুলেছেন আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া তার মালিকানায় রয়েছে এ্যমিকো ল্যাবরেটরিজ, পান্না টেক্সটাইল, মোনা ফিন্যান্সসহ কয়েকটি কোম্পানি। তার ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।


সর্বশেষ সংবাদ