এক শার্ট ৩০ বছর পরেছেন ডা. জাফরুল্লাহ

গত ২৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ। প্রকাশ্যে সর্বশেষ দেখা যায় তাকে।
গত ২৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ। প্রকাশ্যে সর্বশেষ দেখা যায় তাকে।  © সংগৃহীত

সাদা ও হালকা বেগনি চেকের একটি শার্ট। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানেই যেন সেই শার্ট। যা তিনি পরেছেন একটানা ৩০ বছর।

ছাত্রজীবনে চড়তেন দামি গাড়িতে। ছিল পাইলটের লাইসেন্স। লন্ডনে পড়াশোনা অবস্থায় রাজকীয় দর্জি তার বাসায় এসে মাপ নিয়ে স্যুট তৈরি করতেন বলে অতিরিক্ত পরিশোধ করতেন ২০ পাউন্ড। অথচ দেশে-বিদেশে কোথাও তার একটি ফ্ল্যাট পর্যন্ত নেই। বোনকে দান করে দিয়েছেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা। মরণোত্তর দেহদান করায় দাফনের জন্যও প্রয়োজন হবে না জমির।

আরও পড়ুন: এই শার্ট ৩০ বছর ধরে পরছি, না ছিঁড়লে আমি কী করব?

নিজের সেই বহুপরিচিত শার্ট বিষয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, ওই শার্ট তিনি ৩০ বছর ধরে পরে আসছেন। এ ছাড়া আলাপ চলাকালে তার পরনের প্যান্ট তালি দেওয়া বলেও দেখান হয়।

সে দিন জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে তিনি সাধারণ বেশভূষায় চলতে পছন্দ করেন।

তিনি বলেন, লন্ডনে থাকা অবস্থায় সেখানকার রাজ পরিবারের প্রিন্স চার্লস যে টেইলারে স্যুট সেলাই করতেন, তার স্যুটও সেখানকার দর্জি সেলাই করে দিত। এসে তার জামার মাপ নিয়ে যেত।

তবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার শার্ট ও প্যান্ট পরা, জীবনাচরণের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বিভিন্ন ঘটনাও উল্লেখ করেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। বাবা-মার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।


সর্বশেষ সংবাদ