জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা: সালাউদ্দিন

  © ফাইল ফটো

আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরগরম। ফের সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পরই সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে। ‘সেইভ ফুটবল’ ও ‘সালাউদ্দিন আউট’ হ্যাশট্যাগে সয়লাব ফেসবুক। বাফুফের অফিশিয়াল পেজের যে কোনো পোস্টেই সালাউদ্দিন বিরোধী মত প্রকাশ করছেন ফুটবল সমর্থকেরা।

তবে সোশ্যাল ব্যবহার না করায় এসবে তেমন পাত্তা দেন না এই কিংবদন্তি। তারপরও তিনি যেহেতু সভাপতির চেয়ার আছেন, তার অধীনস্তরা যখন যা হয় তাই তাকে জানান।

নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনা নিয়ে সালাউদ্দিন বুধবার বলেছেন, জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে। আমার নিজের ফেসবুক নাই, আমাকে নিয়ে কী হচ্ছে আমি তা জানি না। আমার অফিস থেকে আমাকে বলা হয়। ধরেন এক হাজার ডিজলাইক আসল। কী নামে? কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন আমার নাম কাজী সালাউদ্দিন। এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।

বিশ্বের সেরা ৩০ তরুণ মিডিয়াকর্মীর তালিকায় বাংলাদেশের আদর

ফেসবুক তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণাকে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, এত মানুষ তো একই ভুল লিখতে পারে না। তার মানে একটা প্ল্যাটফর্ম থেকেই এগুলো করা হচ্ছে।

এই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে সালাউদ্দিনের জবাব, ‘এত বছরতো অ্যাকশন নেইনি। আমি এখানে এসেছি কাজ করতে।’ ভোটের সময় বা সারা বছর। সালাউদ্দিনের সমালোচনায় মুখর থাকে একটি পক্ষ। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন সাবেক ফুটবলার। এদের বিষয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন এই কোচ বললেন, ‘এরা ২০ বছর আগে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছে। গত ১০ বছর মাঠে আসে না খেলা দেখতে। ভোটে দাঁড়ালে পায় ১২ ভোট, ২০ ভোট ৩০ ভোট। এই ৪-৫ জনই প্রতিটি টিভিতে ঘুরে ঘুরে কথা বলে। এদের যদি এতই যোগ্যতা থাকত তাহলে এখানে আসত।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। ব্যালটে সভাপতি পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নাম থাকছে সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়ের। যদিও বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু সে ঘোষণা সময়মতো না আসায় কাগজে-কলমে তিনি থাকছেন। তবে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, এসব ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

অসুস্থ হয়ে পড়ায় আহমদ শফীকে হাসপাতালে ভর্তি

৪৯ জনকে চাকরি দেবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ