করোনায় মৃতদের দাফনে আলেমদের সমন্বয়ে সরকারের গাইড লাইন দরকার

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য তাঁর স্ত্রী রাতভর আকুতি জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি (তথ্য: প্রথম আলো)। লোকটি কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চত হওয়া যায়নি। মৃত্যুর আগে লোকটি চিকিৎসা সেবাও পায়নি বলে খবর উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর পর লাশের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। লাশ দাফনে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা বাঁধা দিয়েছেন।

খিলগাও তালতলা কবরস্থানের সামনে একটি ব্যানারও টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে যে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া কাউকে এই কবরস্থানে কবর দেয়া যাবে না। তাকে যেন অন্যস্খানে কবর দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে স্টোর বা দোকানে প্রবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ উল্লেখ করে নোটিশ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্ত ব্যক্তি বা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃতদের দাফনে আলেমদের সমন্বয়ে সরকারের গাইড লাইন দরকার। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো জটিল হবে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১৩ জন বাংলাদেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছে কমিউনিটির সংবাদ মাধ্যমগুলো। মৃতদের জানাজা ও দাফন কার্য সম্পাদনে মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি এগিয়ে এসেছে। নিউইয়র্কে মৃত বাংলাদেশিদের সরকারি ও ডাক্তারি বিধি-নিষেধ অনুসরণ করেই দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরীফ হোসাইন, বাফেলো, নিউইয়র্ক

 


সর্বশেষ সংবাদ