লিমন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এ আনন্দ রাখি কোথায়!

  © ফাইল ফটো

সাত বছর আগে র‍্যাবের গুলিতে পা হারান ঝালকাঠির লিমন হোসেন। এরপর অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে। প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে পূরণ করেছেন নিজের স্বপ্নকে। হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সম্প্রতি লিমন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন।

আর লিমনের এমন সাফল্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিমনের সফলতা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল।

‘র‌্যাবের গুলিতে পা হারিয়েছিন ঝালকাঠির অদম্য তরুন লিমন হোসেন। তারপর এর বিচার চেয়ে সে এক অসীম সাহসী লড়াই লড়েছে অনেক বছর।
এদেশে বড় বড় কথা বলা মানুষ আছে, আছে মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজ। পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি তাদের কেউ কেউ প্রথমদিকে লিমনের পাশে ছিলো।

কিন্তু লিমনকে সযত্নে গড়ে তোলার বড় দায়িত্বটা পালন করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুীর-ই। তার গড়া গণবিশ্ববিদ্যালয়ে লিমনের পড়াশোনর ব্যবস্থা করেছেন। লিমনকে আমার মানবাধিকার বইটি উৎসর্গ করেছিলাম। ফোনে তাকে একথা জানাতে গিয়ে জানলাম সে এখন গনবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক! এ আনন্দ রাখি কোথায়’!

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বাড়ির পাশে মাঠে গরু আনতে গিয়েছিলেন। মোরশেদ জমাদ্দার নামের এক সন্ত্রাসীকে ধরতে গিয়ে কিশোর লিমনের পায়ে গুলি করেন র‌্যাবের সদস্যরা। এরপর দুটি মামলায় লিমনকে আসামি করে র‌্যাব। একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে।

লিমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয় ঢাকায়। এরপর তাঁর জীবন বাঁচাতে গুলি লাগা বাঁ পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রথম পৃষ্ঠায় খবর প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি সারাদেশে আলোচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। তখন পা-হারা এই কিশোরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেশের বিবেকবান মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীরা। লিমনের চিকিৎসাও হয় মানুষের আর্থিক সহযোগিতায়।


সর্বশেষ সংবাদ