মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগে উপেক্ষিত চারুকলার বৃহত্তর জনবল

  © ফাইল ফটো

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ৪২ বছর ধরে চারু ও কারুকলা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মতো বেসরকারি পর্যায়ে এ শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের জুন মাসে জারিকৃত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিওনীতিমালায় (২০১৮) সৃষ্টি হয়  চারুকলা শিক্ষক পদ। ২০১৯ সালের ৩০ মে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে এ পদে শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিও দেওয়া হবে।

সামনে এমপিও ভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজন ২১ হাজারেরও বেশি চারুকলা শিক্ষক। আগামীতে যত সংখ্যক মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে এ সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী চারুকলা শিক্ষক পদে আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা চারুকলায় স্নাতক (পাস/অনার্স) ডিগ্রি; বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫বছর সাথে ‘এনটিআরসিএ’ থেকে নিবন্ধন। যদিও পূর্বের (২০১০) শিক্ষক নিয়োবিধিতে নির্দিষ্ট বয়সসীমা এবং নিবন্ধনের কোন শর্ত ছিলনা।

এ অবস্থায়,  প্রথম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন  শর্ত যুক্ত করার কারণে চারুকলার বৃহত্তর জনবল এ পদে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী সময়ে চারুকলা থেকে যারা উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী, অস্থায়ী/চুক্তি ভিত্তিক কাজ করছেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করে টিকে  আছেন তারা বয়সসীমা নির্দিষ্ট হওয়ার কারনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন।

ইচ্ছে থাকা সত্বেও শিক্ষকতা পদে আবেদন করতে বা আসতে পারছেন না। আবার যারা আগে থেকেই বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে চারুকলার শিক্ষক হিসেবে আছেন তারাও বয়সসীমা ও নীতিমালার শর্তে বাদ পরবেন। এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

চারুকলার/সাধারন শিক্ষার্থীরা কতটা সেশনজটের শিকার তা ভুক্তভোগী ছাড়া বোঝার কথা না।চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কত বছর থেকে আন্দোলন করছেন তা সরকারের উচ্চ মহল অবগত হয়েও এক্ষেত্রে নিরব। মনে হচ্ছে, নির্বাচনের দলীয় ইশতেহারে বয়স বৃদ্ধির কথা ভুলে গেছে আওয়ামীলীগ সরকার।

অন্যান্য চাকরির একটি পদের বিপরীতে হাজারো প্রার্থী। অথচ চারুকলার হাজার হাজার পদ সৃষ্টি/শূণ্য থাকার পরও হাতেগোনা চারুকলার কিছু সংখ্যক দক্ষ জনবলকে কাজে না লাগিয়ে অযোগ্যের তকমা দিয়ে বসিয়ে রাখার নিয়োগবিধি করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কি পরিকল্পিত নাকি অদূরদর্শী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ?

যদি ধরেও নেওয়া হয় এই নীতিমালা  অত্যাধুনিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। কিন্তু  প্রশ্ন হচ্ছে, বাস্তবতার নিরিখে  এই  নিয়োগবিধি কি বর্তমান সময়ে  সরকার বা শিক্ষার্থীদের  কোন কাজে দেবে? এই নিয়োগবিধি যদি সময়ের সাথে কিংবা বাস্তবতার সাথে না প্রয়োগ না করা যায়, তবে আপাতত এটিকে অদূরদর্শী নীতিমালা হিসেবে আখ্যায়িত যায়।

একটি বৃহত্তম অংশের কথা না ভেবে এমন দায়সারা গোছের অদূরদর্শী নিয়োগবিধি জারির পর থেকে চারুকলা অঙ্গণে বেশ ক্ষোভ দেখেছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককে তা তুলেও ধরছেন। অবশ্য  ক্ষোভের কিছু কারণও আছে ।

কারণ সরকার যখন ২০১০ সালের নীতিমালা কিছুটা পরিবর্তন করে ‘সংশোধিত নীতিমালা ২০১৩’ প্রকাশ করে তখন যদি চারুকলার পদটি যোগ করা হতো তাহলে শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষাতে অনেকে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতায়  প্রবেশ করতো। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী  আগামী ৩০/৪০ বছরেও ২১/ ২২ হাজার চারুকলা শিক্ষক  পূরণ সম্ভব নয়।

কারণ বর্তমানে  প্রতিবছরে চারুকলায় ডিগ্রি অর্জনকারী ও শিক্ষক নিবন্ধনধারিদের পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট। বর্তমানে দেশের  সাতটি আর্ট কলেজ, আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ও তিনটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তথা মোট ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারুকলায় অধ্যয়নের সুযোগ আছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি সেশনে চারুকলার  বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির আসন সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

কিন্তু আর্ট কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন পূরণ না হওয়াসহ নানা কারণে প্রতি বছর চারুকলায় উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছে  ১২শ’র কিছু বেশি শিক্ষার্থী। (অবশ্য সম্প্রতি দুই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়টি চালুর উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন )। এখন এই মোট ডিগ্রিধারীদের মধ্যে অনেকে  উচ্চতর ডিগ্রি  ও চাকরির জন্য বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে।

তাহলে অবশিষ্ট  ডিগ্রিধারীরা কি সবাই  বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেবে? অবশ্যই এর একটি অংশ উচ্চ বেতনের পেশা বেছে নিবে। আবার কেউ হবে উদ্যোক্তা। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেকে ক্যারিয়ার গড়বে। আর যারা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী তাদের একটি অংশ বর্তমান শিক্ষক নিবন্ধনের কঠিন স্তর গুলো থেকে ঝরে পরবে। শেষে কতজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকবে তা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।

যেমনঃ চারুকলার প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন/২০১৮ সালের ১৫তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি টেস্টে চারুকলার মোট অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ২৬ জন। এদের মধ্যে ১৩জন চুড়ান্ত ফলাফলে উর্ত্তীণ হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, দরকার ২১ হাজার শিক্ষক, কিন্তু একবছরে পাওয়া গেল মাত্র ১৩ জন শিক্ষক।

আগামীতে যদি প্রতি বছরে এ সংখ্যা ১৩ জন থেকে ৫০০ জনেও উন্নিত হয় তবু ২১ হাজার সৃষ্ট চারুকলা  শিক্ষক পদ পূরণের জন্য ৪২ বছর লেগে যায়। এ সংখ্যা যদি এক হাজার হয় তাহলে লাগে ২১ বছর। বাস্তবে কি ১৩ জন থেকে পরবর্তী নিবন্ধনে ৫০০ জন কিংবা দুই/চার বছর পর এক হাজার জনে পৌঁছানোর  সম্ভাবনা আছে? কেউ হবে উদ্যোক্তা।

এখন যদি  শিক্ষার্থীরা  জানতে চায়, চারুকলার বই পেলাম স্বাধীনতার ৪২ বছর পর, শিক্ষক পেতে কি আরও ৪২ বছর অপেক্ষা করতে হবে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর কি পাওয়া যাবে?  তবে এখনও সরকার সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হলে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে চারুকলার বৃহত্তর  জনবলকে স্থায়ী  কর্মসংস্থান দিতে পারে ৷ কারণ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে  সরকার যেকোন আইন /বিধি পরিবর্তন আনতে পারে।

এর আগেও একাধিকবার  বর্তমান আওয়ামীলীগ  সরকার এমন জনমুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যেমন, ২০১৫ সালের সরকারি নার্স নিয়োগে বর্তমান সরকার ১০ হাজার নার্স নিয়োগে কয়েক বছরের জন্য বয়সসীমাসহ নিয়োগবিধি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ১২অক্টোবর, ২০১৫। তাই এ বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকট কিছুটা হলেও  মোকাবেলা করা যেতে পারে ।

নয়তো বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে  চারু ও কারুকলার শিক্ষক এবং শিক্ষা আরও কয়েক যুগ বৃত্তের মাঝে ঘুরপাক খাবে। আর বরাবরের মতো সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষায় বৈষম্য চলমান থাকবে। কেননা নবসৃষ্ট পদ চারুকলা শিক্ষকের  চাহিদার  তুলনায় হাজার হাজার যোগ্য জনবল সংকট।

বলা যায়, সরকার একদিকে প্রতি ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে অন্যদিকে হাজার হাজার চারুকলা শিক্ষক পদ সৃষ্টি /শূন্য হওয়ার ফলেও কর্মক্ষম আঁকিয়ে ও শিল্পীদের নীতিমালার শর্তে আটকে রাখছে। কাজেই বর্তমান যে সংখ্যক দক্ষ জনবল হাতে আছে সরকার তার সদ্ব্যবহার করতে পারে।

স্কুলগুলোতে চারু ও কারুকলার চর্চা যথাসম্ভব চালু রাখতে দ্রুত চারুকলা শিক্ষক নিয়োগ ও কিছু দূরদর্শী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংকটাপন্ন অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন আনা সম্ভব । এজন্য যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা যেতে পারে:

১. বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি চিত্রশিল্পী/চারুকলা শিক্ষক এমনকি প্রকৌশলীদের মতামত নিতে হবে । 

২. বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারুকলা শিক্ষক পদগুলো যতদিন পূরণ হবে না ততদিন এ পদ নিয়োগের বয়সসীমা শিথিল রাখতে হবে ।

৩. চারুকলার প্রাক-ডিগ্রি, ডিগ্রি (পাস) ও অনার্স এর তত্ত্বীয় সিলেবাসকে প্রাধান্য দিয়ে স্থায়ীভাবে চারুকলা শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস তৈরি করতে হবে। কারণ চারুকলার সিলেবাস শিল্পকলা ও  ব্যবহারিক বিষয় নির্ভরশীল। তাই সাধারণ শিক্ষার সিলেবাসে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় চারুকলার শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা মোটেও গ্রহণ যোগ্য নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী প্রার্থী ও চারুকলা সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

৪. ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নিয়োগ ও এমপিও’র সিদ্ধান্ত বাতিল করে চলতি অর্থ বছর থেকে নিয়োগ ও এমপিও'র  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

৫. যেসব স্কুল চারুকলা শিক্ষক শূণ্য থাকবে সেই স্কুলগুলো থেকে এ বিষয়ে পারদর্শী বা পাঠদানে আগ্রহী  শিক্ষকদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যয় রোধে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা।

অথবা, নিয়োগকৃত মোট জনবল তথা চারুকলা শিক্ষকদের উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। উপজেলার স্কুলের সংখ্যা অনুপাতে কর্মস্থল নির্দিষ্ট করে দেওয়া। যেহেতু ৫০ পূর্নমানের চারুকলা বিষয়টি তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক দুই ভাগে বিভক্ত তাই শুধু ব্যবহারিক অংশটি চারুকলা শিক্ষক দিয়ে এবং তত্ত্বীয় অংশটুকু স্কুলের নির্বাচিত শিক্ষক দিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা। কারণ, এতে একজন শিক্ষকের বেশি সংখ্যক স্কুলে ব্যবহারিক অংশটি শেখানোর সুযোগ পাবেন ।

এরপরও যেসব স্কুল চারুকলা শিক্ষক পাবে না সেসব স্কুলের শিক্ষকদের চারুকলা শিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পাঠদান চলমান রাখা ।

৬. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়মিত চর্চায় অর্ধ-বার্ষিক, বার্ষিক ও জেএসসি পরীক্ষাতে পুনরায় চারু ও কারুকলা বিষয়টি যুক্ত করা।

৭. চারুকলা শিক্ষক শূণ্য স্কুলের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চারু ও কারুকলায় পারদর্শী নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রিধারীদের অস্থায়ী নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।

৮. দেশের সব আর্ট কলেজে অনার্স কোর্স চালুসহ বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া। যে বিভাগে চারুকলায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নেই সেখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়টি চালুর উদ্যোগ নেওয়া যায় কিনা বিবেচনায় আনা। উদাহরণ স্বরূপ- রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

এরকম  আরও নানাভাবে পর্যালোচনা করে স্থায়ী  সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যেতে পারে। কেননা বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকতে বিশ্বমানের নাগরিক যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন অত্যাধুনিক শিক্ষানীতি গ্রহণ।

বাঙ্গালীর ভাষা, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি রক্ষার ধারক-বাহক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শিল্পগুরু জয়নুল আবেদিন। তাঁদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ভাষা, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার সর্বত্র সুযোগ দরকার ।

শিল্পগুরু জয়নুল আবেদিনের ভাষায়, ‘চাই সর্বস্তরে শিল্পকলা চর্চা ও শিক্ষার অবাধ সুযোগ। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য ও মুক্তি যেমন সবার কাম্য তেমনি কাম্য হওয়া উচিত সুন্দর রুচিশীল ও সৎ জীবন, শৈল্পিক জীবন। আমি বারবার বলি আমাদের বর্তমান দুর্ভিক্ষ– খাদ্যের দুর্ভিক্ষ ততটা নয়, যতটা রুচির দুর্ভিক্ষ। একে দুর করতেই হবে। হয়তো সেক্ষেত্রে আমাদের সংগ্রাম ঐ উভয় দারিদ্রের বিরুদ্ধে।’

সব মিলিয়ে  চারুকলা শিক্ষক সংকট নিরসন ও এ শিক্ষার চর্চা  চলমান রাখতে সরকারকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। নাহলে জনমনে  সরকারই বিতর্কে পরবে। সাথে শিল্পী-আঁকিয়ে কালো ক্যানভাসে এঁকে দিতে পারে বিরুদ্ধ ভাবনা ।

(মতামতটি সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ ও চারুকলা শিক্ষকের তথ্য অবলম্বনে লেখা )।

লেখক: ফ্রিল্যান্স রাইটার