গেমিং নেশা খু্বই ভয়ংকর

  © টিডিসি ফটো

কোমলমতি শিশুদের জন্য প্রযুক্তির নেশা, বিশেষ করে গেমিং নেশা যে খুবই ভয়ংকর সেটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করার উপায় নেই। ভিডিও গেমিং নেশায় মগ্ন হয়ে শিশুদের শৈশব বলতে কিছু থাকল না। শৈশবের আনন্দ, স্মৃতি কোন কিছুর প্রতি আজকের শিশুরা আগ্রহী নয়। সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে ভার্চুয়াল গেমিং নেশায় অধিকাংশ শিশুরা অসামাজিক হয়ে বেড়ে উঠছে। পারস্পরিক সম্পর্ক ও বাস্তব জগতের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিয়ে ওরা উদাসীন হয়ে পড়ছে।

এভাবে চললে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে এই জাতি। বিবিসি’র রিপোর্ট থেকে জানতে পারি যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগব্যাধির শ্রেণি বিন্যাসের তালিকায় এই আসক্তিকে ‘গেমিং রোগ’ বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে। নথিতে ভিডিও গেমে আসক্তিকে একটা আচরণগত সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই আচরণে আসক্তির সব লক্ষ্মণ রয়েছে অর্থাৎ বারবার এই খেলার প্রবণতা দেখা যায় এবং এর থেকে সরে আসা কঠিন বলেও দেখা যায়।

এছাড়াও ‘জীবনের অন্যান্য সব কিছু ছাপিয়ে প্রাধান্য পায়’ এই গেমিং-এর নেশা। কোন কোন দেশে ভিডিও গেম খেলার নেশাকে ইতিমধ্যেই বড়রকম জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে চিহ্ণিত করা হয়েছে।

লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের প্রযুক্তিতে নেশা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড গ্র্যায়াম এই আসক্তিকে রোগ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ‘এর ফলে এইধরনের আসক্তি মোকাবেলায় বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও বিষয়টাকে মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো কিছু করতে চাইলে আইন করে এই ধরণের গেমিং সুযোগ বন্ধ করতে হবে। অভিভাবক, শিক্ষকসহ সচেতন মহল সবাইকে গেমিং নেশা বন্ধ সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন করে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

লেখক: প্রভাষক (হিসাববিজ্ঞান), মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ


সর্বশেষ সংবাদ