উপাচার্যের পদের এতো কি আকর্ষণ?

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর আজ শনিবার হামলা করা হয়েছে। উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছেন, সেই সময়ে এই হামলা করা হলো| ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়েছে| হামলাকারী কারা? বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ‘আজ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে করা হয়েছে।’

তিনি তার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন। উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।’ শিক্ষার্থীরা বলেছেন হামলাকারীরা ‘ভিসির লোকজন’; স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান টুটুল বলছেন হামলাকারীরা বহিরাগত -ভিসির লোক। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভিসির লোক’ হওয়ার কথা শিক্ষার্থীদের, লাঠিয়াল বাহিনীর নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বিভিন্ন সময়েই শিক্ষার্থীদের ‘মোকাবেলা’ করতে লাঠিয়াল বাহিনীর ওপরেই ভরসা করছেন।

উপাচার্য মিথ্যাচারও করেছেন, তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’ অথচ গোপালগঞ্জের নির্বাহী হাকিম শাহিদা সুলতানা বলেছেন ‘১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি’। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করতে প্রশাসনের দ্বারে হাজির হয়েছেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গুন্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন।

উপাচার্যের পদের এতো কি আকর্ষণ? উনি না হয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন না, কেননা ওই পদ তিনি পান নি, তাকে দেয়া হয়েছে- কেন দেয়া হয়েছে, যারা এই পদ দেন তারাই বলতে পারবেন। কিন্তু তাকে যারা এই পদ দিয়েছেন তাদের কি এই বোধ হয়না যে বিশ্ববিদ্যালয়কে পতনের কোথায়, কোন ধাপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?


সর্বশেষ সংবাদ