কমিটি নয়, মধুর ক্যান্টিনের সিলেবাস পরিবর্তন করুন

  © সংগৃহীত

মধুর ক্যান্টিনের সিলেবাস কিছুটা পরিবর্তন না করলে যতই রাজনৈতিক নেতা কিংবা কমিটির পরিবর্তন করা হোক না কেনো সামগ্রিক কিংবা গুণগত পরিবর্তন বহন করা সম্ভব না।

সময়টা ২০১৯, কিন্তু রাজনৈতিক সিলেবাস, আচার-আচরণ, অনুশীলন ইত্যাদি অনেক কিছুই ব্রিটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলের ছায়া ঘেরা। সময়ের সাথে ছাত্ররাজনীতির লক্ষ্য ও কৌশল বদলাতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে আসবে। ফুটবলের মত দর্শক হারাবে রাজনৈতিক আবেদন।

এখন রাজনীতিতে তালিম হয়না। প্রচুর প্রোটকলে মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর। আর নেতা-কর্মীদের মধ্যেও চলনে, বলনে চিন্তায় খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না।

খুব মিস করি ব্রিফিং, তথ্য ও তত্ত্বগত আলোচনা, কমান্ড, পায়ের মহড়া, ওয়ার্কশপকে। জানিনা সেই জৌলুশ আসবে কিনা। শিক্ষামূলক সেমিনার কিংবা সিম্পোজিয়াম মসলিনের মত হারিয়ে গেছে।

মধুর ক্যান্টিনে আসা আর নেত্রীর নামে স্লোগান ধরা আর ভাইয়ের সাথে সারাদিন কারণে অকারণে ঘুরাঘুরি করা এই আমাদের বর্তমান সময়ের ছাত্ররাজনীতির সংজ্ঞায়ন। ব্যতিক্রম নাই তা বলবো না।

কিন্তু বিগত দিনের ঋণের বোঝা হতে বেরিয়ে ৩৬০-এ টার্ন করা সম্ভব কিনা সেটিও চিন্তার বিষয়।

লেখক: উপস্থাপক ও নির্মাতা, প্ল্যানার বাংলাদেশ টেলিভিশন (অনুষ্ঠান) নির্দেশক জাতীয় স্কুল বিতর্ক বিটিভি


সর্বশেষ সংবাদ