ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে সবকিছু পেয়ে লাভ কী?

  © টিডিসি ফটো

জীবনে প্রায় সব সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চিন্তা মাথায় ভর করে। অবশ্যই সেখানে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ লাভ-লস তুলনার মানদণ্ড হিসেবে চিন্তা জগতে জায়গা করে নেয়। কত হিসেব-নিকাশ কষতে হয়, মনের সাথে বারবার নেগোসিয়েশন করতে হয়।

কেউ পাক্কা হিসেবের পর পুরোটা পাওয়া নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেয়, আর কেউ কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় কে সামনে রেখে অন্য প্রায় সবকিছু স্যাক্রিফাইস করে। এক্ষেত্রে যে পুরোটা বুঝে পাওয়া নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সে কিঞ্চিত পরিমাণ কম পেলেও অতৃপ্তি তে ভোগে। আর যে শুরুতেই স্যাক্রিফাইস করে এসেছে, সে তো জানেই- কিছু বিষয় সে হারাচ্ছে, তাই তার ভয় থাকে না। বরং যদি প্রত্যাশার চেয়ে সামান্যটুকুও বেশি পায়, প্রাপ্তির আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যায় । মন তৃপ্তির সাগরে মিশে যায়। আর সেই স্যাক্রিফাইস যদি হয় কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, তাহলে তো কথাই নেই। দুনিয়াতেও তৃপ্ত আত্মা আনন্দের আতিশয্যে দোল খায়, পরকালে পুরস্কৃত করার জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে ঘোষণা তো আছেই। ইব্রাহিম ও ইসমাইল আলাইহিমাস সালাম এর ঘটনা উৎসর্গের প্রকৃষ্ট উদাহরণ, জানা আছে না??

সব হিসেব পাক্কা করতে না যাওয়াই ভালো, স্যাক্রিফাইস করা শিখি। ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে সবকিছু পেয়ে লাভ ই বা কি, আমার সাথে আমার আমল ছাড়া আর কিছুই তো যাবে না। অনেক পাওয়ার আশা করে কম পাওয়ার চেয়ে, কম পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেও সামনে গিয়ে, বেশি পাওয়া অবশ্যই আপনাকে সুখি করবে। একটু ভেবেই দেখুন না।

লেখক: শিক্ষক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ