নব্বইয়ের আগের ডাকসু আর এই ডাকসু এক না

  © টিডিসি ফটো

ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে দেখেছি প্রত্যেকটা আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ‘‘আশার বাণী’’ নামক মূলা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের নায্য আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা হয় এবং পরবর্তীতে আন্দোলন বানচালও হয়ে যায়। গতবছর জানুয়ারিতেও সাত কলেজ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল।

সেইটাকে কিভাবে নষ্ট করা হয়েছিল, লেডি গুন্ডাবাহিনী আন্দোলনরত মেয়েদের উপর কি নির্মম নির্যাতন চালিয়ে নিজেরাই মাথায় পট্টি বেঁধে হাসপাতালের বেডে ফটোসেশন করেছিল, কিভাবে তার দুইদিন পরেই রঙচঙে মেকআপে ক্ষতের দাগ(!) ঢেকে গিয়েছিল, কিছুই ভুলিনি। তাদেরই কেউ কেউ এখন ডাকসু নেতা!

নব্বইয়ের আগের ডাকসু আর এই ডাকসু এক না। আগে যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে ডাকসু, এখনকার ডাকসু নাকের ডগায় মূলা ঝুলিয়ে রাখে! আখতার ছেলেটা মাঠে থেকে নিজে আন্দোলন করতেছে।‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠের’’ কারণে ছেলেটার সব কষ্ট বারবার মাটি হয়ে যাচ্ছে। নূর ভাইও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

ডাকসুর ভিপি যেখানে আন্দোলন সমর্থন করেছেন, সেখানে বাকিরাই আবার ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যেতে বলে কিভাবে? একজন ডাকসু নেত্রী তাও আবার সিনেট সদস্য তো ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েই আন্দোলন করতে বলে দিয়েছেন! আরেকজন মহান টেকনোক্র‍্যাট সিনেট সদস্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর গালেই চড় বসিয়ে দিয়েছেন!

যেখানে এদের মতন কুমির থাকে, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন অনেকটা কুমিরের মায়ের পুত্রশোক নয় কি? তাই মূলা দেখে না ভোলার আহ্বান রইলো। ডাকসু ক্লাসে ফিরে যাবার যে আহ্বান জানিয়েছে, সজ্ঞানে তা প্রত্যাখ্যান করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলুক। সবসময় পাশে আছি।


লেখক: শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভিপি, শামসুন নাহার হল সংসদ।


সর্বশেষ সংবাদ