মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ভিত্তি শক্ত করুন

চড়াই-উতরাই ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। অতীতে নিজের সন্তানকে পড়াশোনা করাতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাতেন না এ দেশের অভিভাবকরা। এর পেছনে কারণও ছিল অনেক। সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নিঃসন্দেহে দরিদ্রতা। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে দরিদ্রতার কারণে নিজের সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর পরিবর্তে সংসারের খরচ মেটানোর জন্য আয় করার কাজে পাঠানোর দিকেই তাদের আগ্রহ ছিল বেশি।

এছাড়া দুর্বল অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবসহ আরও নানা বিষয় এক্ষেত্রে জড়িত ছিল। তবে সেসব সমস্যা থেকে এখন অনেকটাই বেরিয়ে আসা গেছে। নিজের সন্তানকে সামান্য সুযোগ পেলেই এখন লেখাপড়া করানোর কথা ভাবেন মা-বাবা। যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের সন্তানের লেখাপড়ার জন্যও সরকার নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর পরিমাণ এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এর পরও নানা ধরনের সমস্যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় রয়ে গেছে, বিশেষ করে শিক্ষার স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে। এই দুই পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা মানসম্পন্ন করতে না পারলে পরবর্তী লক্ষ্যগুলো পূরণ করা কঠিন হবে বলেই মনে হয়।

আজকের এই প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে এসেও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। সবচেয়ে বেশি কথা হয় শিক্ষার মান নিয়ে। দেশের কারিকুলামে যে পরিমাণ পরিবর্তন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, বিশ্বের আর কোনো দেশে তা হয়েছে কি না, জানা নেই। এছাড়া পড়াশোনার একটি পর্যায়ে গিয়ে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ওই প্রজš§ যে একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে পড়ছে, তা না বলে দিলেও চলে।
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার সবচেয়ে বেশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে। এ পর্যায় থেকে এভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার মানে হলো তারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত থাকছে। অবশ্য কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতিও হয়েছে অনেক। তারপরও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে, যা রোধ করা জরুরি। এ নিয়ে সরকারের উচ্চমহলও অবগত। বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর প্রাথমিক স্তরে ওই হার ১৮ দশমিক ছয় শতাংশ। এছাড়া ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হারও তুলে ধরেন তিনি। এতে দেখা যায়, ২০০৯ সালে ৫৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, ২০১০ সালে ৫৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, ২০১২ সালে ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৪০ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৩৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ক্রমেই নিম্নগামী হচ্ছে, এটা স্পষ্ট। তবে এখনও ৩৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৭ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ঝরে যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। একইভাবে প্রাথমিক স্তর থেকে ১৮ জনের অধিক শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার মানে হলো তারা শিক্ষার আলো থেকে একেবারেই বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। আজকের এই আধুনিক যুগে এসে শিক্ষাবঞ্চিত একজন চলতি পথে কতটা সমস্যার শিকার হতে পারে, তা নতুন করে না বলে দিলেও চলে। প্রতি পদে ভোগান্তির শিকার হবে তারা।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও একটি বড় সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝরে পড়ার হার বেশি। ২০০৯ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার যেখানে ছিল ৪২ দশমিক ১৫ শতাংশ, তখন মেয়েদের ওই হার ছিল ৬৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে ২০১৮ সালে ছেলেদের ঝরে পড়ার হার ৩৬ দশমিক শূন্য এক শতাংশ হলেও মেয়েদের ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ। সে হিসাবে প্রথম দিকে ঝরে পড়ার হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ব্যবধান বেশি থাকলেও ক্রমে তা কমেছে। এমনকি জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় এখন মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমানতালে লড়ছে। এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য নিঃসন্দেহে ভালো দিক।

আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের এভাবে ঝরে পড়ার কারণ অনেক। বিশেষত দরিদ্রতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। দেশের জনসংখ্যার বিরাট একটা অংশই দরিদ্র। এছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যাও বিশাল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পরিবারের খরচ মেটাতে না পারায় সন্তানকে পড়াশোনা করাতে আগ্রহ দেখান না অভিভাবকরা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতেও এ সংখ্যা একেবারে কম নয়। অর্থমন্ত্রী নিজেও শিক্ষার্থী ঝরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দরিদ্রতা, অভিভাবকের অসচেতনতা, শিশুশ্রম, অশিক্ষা, বাল্যবিয়ে ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো ব্যাপারগুলো উল্লেখ করেছেন। শিক্ষার্থী ধরে রাখতে হলে এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে নিতে হলে এসব সমস্যা সমাধানের বিকল্প নেই।

আমাদের দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবও একটি বড় সমস্যা। ইদানীং তো প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর আসছে, স্কুলভবনের ছাদ ধসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত। এদেশের বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে তিনটি করে রুম ও একটি অফিস রুম রয়েছে। ফলে দুই শিফটে ওইসব বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে হয়। এছাড়া বিপুলসংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশে এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। তবে এর বেশিরভাগেরই ভবন জরাজীর্ণ। কিছু প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা টিন কিংবা বেড়া দিয়ে তৈরি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালানো হচ্ছে। এগুলোতে শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটও রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা অন্তত ১০ হাজার। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

এছাড়া জরাজীর্ণ হয়ে পড়া ও ভবন না থাকা ১৪ হাজার ৮৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চিহ্নিত করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কাজও শুরু হয়েছে। এ কাজ দ্রুত শেষ হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব ভবনে কোমলমতি শিশুরা ক্লাস করে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় এক শিফটে ক্লাস করানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে বিদ্যমান ভবনগুলো সংস্কারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যায় ক্লাসরুমও থাকতে হবে। অন্যথায় এ উদ্যোগ উদ্যোগই থেকে যাবে। মাধ্যমিক পর্যায়েও অবকাঠামোর ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। অবশ্য প্রাথমিক পর্যায়ের তুলনায় কিছুটা কম।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এই মুহূর্তে আরও একটি বড় সমস্যা হলো দক্ষ জনবলের অভাব। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় এখন বিপুল পরিমাণ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়েও একই অবস্থা। শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষা অফিস ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর আট হাজার ৮৯৩টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে এই বিপুল সংখ্যায় দক্ষ জনবলের ঘাটতি পূরণ না করা হলে কোয়ালিটি এডুকেশন বা মানসম্মত শিক্ষার উদ্দেশ্য কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।

তবে শুধু জনবল নিয়োগ দিলেই হবে না, তাদের দক্ষ হতে হবে। দেশের সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন ফাঁস বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো সমূলে উৎপাটন না করতে পারলে দক্ষ জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এজন্য প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতি রোধ করা জরুরি। পাশাপাশি ইংরেজি, গণিতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে শিক্ষকদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এগুলো দ্রুত দূরীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

কারিকুলাম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও কম হয়নি। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কারিকুলাম বা পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে একের পর এক। স্বাধীনতার পর থেকে অসংখ্যবার কারিকুলাম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিবর্তন করেছে ক্ষমতাসীন দলগুলো। এছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। সর্বশেষ জিপিএ পদ্ধতিতেও পরিবর্তন নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে। জিপিএ-৫ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বোর্ডগুলো। ২০০৩ সালে জিপিএ ব্যবস্থায় প্রথম পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এভাবে কারিকুলাম ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় বারবার পরিবর্তন ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এমন পরিস্থিতিকে তুঘলকি কাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

শিক্ষাব্যবস্থায় এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ভালো ফল বয়ে নিয়ে আসবে না নিঃসন্দেহে। এ অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে আন্তর্জাতিক মানের যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করা জরুরি। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে ও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে উন্নত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য মানসম্পন্ন ও কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়াও রোধ করতে হবে। অবকাঠামো ও দক্ষ জনবলের ঘাটতিও বড় সমস্যা। এসব সমস্য থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে শিক্ষায় বড় সমস্যা থেকেই যাবে। শিক্ষিত জনশক্তি দক্ষ না হলে বেকারত্ব সমস্যাও বাড়বে।

মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকসহ বিপুলসংখ্যক পদ খালি রয়েছে। দক্ষ জনবলের মাধ্যমে এসব পদ পূরণ এবং সব সমস্যার কার্যকর সমাধান করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বাধীনতার পর প্রায় অর্ধশতাব্দী পরও শিক্ষাব্যবস্থাকে কাক্সিক্ষত মানে না পৌঁছাতে পারা সরকারগুলোর ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে যুগোপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষাব্যবস্থার মূল ভিত্তি। এটি শক্তিশালী না করা গেলে পরবর্তী পর্যায়ের শিক্ষাও সুষম হবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার।

গণমাধ্যমকর্মী
touhiddu.rahman1@gamil.com


সর্বশেষ সংবাদ