শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আদালতের ওপর নির্ভর করছে

এনটিআরসিএ
এনটিআরসিএ  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে আটকে আছে। রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে হিসেবে বলা যায়- বিষয়টি আদালতের ওপরই নির্ভর করছে।

সোমবার (১৫ জুন) বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের ভার্চুয়াল কার্যক্রম চলছে। অনলাইনে কাজ চললেও আদালতের রায়ের কপি আমরা হাতে পাইনি। আদালতের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু না হলে হাইকোর্টর দেওয়া পর্যবেক্ষণের কপি হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর এটি না পাওয়ায় গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে নয়।

যদিও এর আগে গত ৩ জুন দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনটিআরসিএ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ১৫ জুনের পর আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন আমাদের মনে হয়েছিল ১৫ জুনের মধ্যে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে (যেহেতু ১৫ তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল)। তবে সেটি না হওয়ায় আমরা আপাতত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছি না। গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণের কপির ওপর আটকে রয়েছে। এই কপি এনটিআরসিএ হাতে পাওয়ার পর দ্রুতই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একক নিয়োগের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিটকারীদের পক্ষে রায় দেন। সেটি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে এনটিআরসিএ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্ট রায়ের উপর কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। তবে করোনাকালে আদালত বন্ধ থাকায় পর্যবেক্ষণের কপি এখনো হাতে পায়নি এনটিআরসিএ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সাড়ে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ