শিক্ষক নিবন্ধনের ১ হাজার ১৯৯ পদে আবেদন ১০ হাজার

  © ফাইল ফটো

৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় এক হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এসব পদে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগে ৯ হাজার ৮০০টি আবেদন জমা পড়েছে (প্রায় ১০ হাজার)।

এদের মধ্যে ৭ হাজার ৯০১জন প্রার্থী ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করেছেন। এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের।

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল পর্যায়-২ এর ১০টি ট্রেডে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এনটিআরসিএ অফিস থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে পারবেন।

এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তা জানান, সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ৯ হাজার ৮০০টি আবেদন বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে জমা পড়েছে। এদের মধ্যে ৭ হাজার ১০৯ জন প্রার্থী ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।

জানা গেছে, http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। ফরম সাবমিটের পর প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে টাকা জমা দেয়াসহ পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। আবেদনের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০ টাকা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম, তারা এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।

১০টি বিষয়ে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণরা এসব পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবে। ফুড প্রসেসিং, সিভিল কনস্ট্রাকশন, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স ওয়ার্কস, ড্রেস মেকিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, জেনারেল মেকানিক্স, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং এবং ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফ্যাব্রিকেশন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

সাধারণ ধারার স্কুলগুলোতেও চালু হচ্ছে বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল কোর্স। সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় ১ হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ছয় শতাধিক স্কুলে ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল কাঠামো সংশোধন করে নতুন ৪টি পদ অর্ন্তভুক্ত করা হবে। আর জনবল কাঠামো সংশোধন করে এ স্কুলগুলোতে ২জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে গত ৩ নভেম্বর সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সে প্রেক্ষিতে, গত ১ ডিসেম্বর স্কুলগুলোতে ২জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


সর্বশেষ সংবাদ