১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের সনদ বিতরণ শুরু

  © ফাইল ফটো

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ বিতরণ শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে বিতরণ পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এনটিআরসিএ কার্যালয় থেকে স্কুল পর্যায়-২ এর বিভিন্ন ট্রেডে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সনদ সংগ্রহ করছেন।

এনটিআরসিএর কার্যালয় থেকে সনদ সংগ্রহ করে স্কুল পর্যায়-২ এর ট্রেডগুলোতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। এদিকে স্কুল ও কলেজে নিবন্ধিতদের সনদও তৈরি করা হয়েছে। আগামীকাল ২১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো শুরু হবে। এসব তথ্য জানানিয়েছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন।

এনটিআরসিএর অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থীরা সনদ সংগ্রহ করছেন। তারা জানান, সনদ সংগ্রহ করতে এসেছি। কেউ কেউ সনদ পেয়ে গেছেন। সবাই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবো তাই সনদ নিতে এসেছি। সনদ সংগ্রহ করতে সব শিক্ষা সনদের মূলকপি দেখাতে হচ্ছে।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, আজ সোমবার ২০ জানুয়ারি থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ বিতরণ শুরু হল। আগামীকাল থেকেই স্কুল ও কলেজের বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণদের সনদ জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো শুরু হচ্ছে। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগে আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীরা আজ থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এসে সনদ সংগ্রহ করতে পারছেন। সনদ সংগ্রহ করে স্কুল পর্যায়-২ এর ট্রেডগুলোতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।

৭ জানুয়ারি ৬০৪টি স্কুল ও মাদরাসায় ১ হাজার ১৯৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের। ১৫তম নিবন্ধনের উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আজ থেকে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের ১০টি ট্রেডে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এনটিআরসিএ অফিস থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদন করতে পারবেন।

গত ১৫ জানুয়ারি ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনে ১১ হাজার ১৩০ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ের ৯ হাজার ৬৩ জন, স্কুল পর্যায়-২ এ ৬১১ জন এবং কলেজ পর্যায়ের ১ হাজার ৪৫৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন প্রার্থী। নিবন্ধনের ভাইভায় উত্তীর্ণের হার ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।