এনটিআরসিএ সনদধারীদের বয়সসীমা ৩৫ প্রযোজ্য হবে না

  © ফাইল ফটো

৩৫ বছর বয়স সংক্রান্ত বিধান করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৮ সালে করা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় উল্লিখিত শিক্ষক নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে ২০১৮ সালে এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে সনদ পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা আর প্রযোজ্য হবে না।

রায়ে বয়সসীমা নীতিমালা হওয়ার আগেই এনটিআরসিএর সনদপ্রাপ্তদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা আরোপ ছাড়াই আবেদন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে যারা সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী যোগ্য তাদের আইন অনুযায়ী নিয়োগের।

রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জানান রিটকারী আইনজীবী সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পৃথক এমপিও নীতিমালা জারি করে। এগুলো ছিল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামা ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮, বেসরকারি কারিগরি কারিগর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮।

সব নীতিমালাতেই এমপিও দেওয়া, শিক্ষক নিয়োগ, প্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের মৌলিক শর্তগুলো প্রায় অভিন্ন। জারি করা এসব নীতিমালায় বলা হয়, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। পাশাপাশি শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর।

এরপর একই বছরের ১০ জুলাই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রথম থেকে ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সম্মিলিত একটি জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। এরপর মেধাতালিকা থেকে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু নীতিমালার শর্তের কারণে অনেকের বয়স ৩৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেই নিয়োগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এরপর বঞ্চিতরা হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট করেন। এসব রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পৃথক রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে এসব রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি করে গত ১৬ মে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।


সর্বশেষ সংবাদ