সিনহা হত্যাকাণ্ড: জামিনে মুক্তি পেয়ে ভাইয়ের কাছে শিপ্রা

টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে তথ্যচিত্র নির্মাণে যুক্ত থাকা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রবিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে কক্সবাজার কারাগার থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা কারাগার সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।

এসময় তাকে গ্রহণ করতে জেলগেটে উপস্থিত ছিলেন তার ভাই সৈকত দেবনাথ ও শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপুসহ অন্যরা। মুক্তির পর শিপ্রাকে নিয়ে চলে যান তার ভাই সৈকত দেবনাথ।

আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু জানান, রবিবার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রামু) শিপ্রার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। বেলা ১২টায় শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপরই দ্রুততার সাথে জামিনের কপি বিশেষ ব্যবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়।

কক্সবাজার জেলা কারাগার সূত্র জানায়, আদালত থেকে শিপ্রার জামিন মঞ্জুরের কাগজ আসার পরপর দ্রুত তা যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেন তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তাকে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহত সিনহার অপর সহকর্মী শাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন আবেদনের শুনানি হলেও আদালত এখনও আদেশ দেয়নি।

সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে বেলা পৌনে ১২টায় হত্যা ও মাদকের দুটি মামলায় সিফাতের জামিন আবেদনের শুনানি হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত ভার র‍্যাবের কাছে দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়। আদালত সোমবার আদেশ দেবে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা।

দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশেদ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি উঠেছিলেন নীলিমা রিসোর্টে।

কক্সবাজারের পুলিশ বলছে, রাশেদ তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে এ ঘটনায় সিফাত ও শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করে দুটো মামলা দায়ের করে পুলিশ।