মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস, দুজনের স্বীকারোক্তি

ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্ন সংগ্রহ করে ফাঁস করার মামলায় দুজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। দুই আসামি হলেন, পারভেজ খান (৩২) ও জাকির হাসান দিপু (৪০)।

অন্যদিকে, মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে পুনরায় পাঁচদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মিরপুর থানায় দায়ের করা প্রশ্নফাঁসের মামলায় সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিন আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের মামলায় গত ২০ জুলাই আসামি জসিম উদ্দিনসহ তিনজনকে সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আসামি জসিমের কাছ থেকে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয় পত্র, ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে সিআইডি । ফাঁস করা প্রশ্ন বিক্রি করে তারা এই টাকা অর্জন করেছেন।

সিআইডির সাইবার অপরাধ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে তদন্ত করে সিআইডি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ৪৭ জনের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি প্রশ্ন করার চক্রটির সন্ধান পায় সিআইডি। ১৯ জুলাই চক্রের সদস্য এস এম সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।