মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস: চক্রের মাস্টারমাইন্ডসহ ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের তিন মাস্টারমাইন্ডসহ ৫ সদস্য গ্রেপ্তার করেছেন সাইবার পুলিশ, সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন, পারভেজ খান, মোহাইমিনুল বাঁধন এবং এসএম সানোয়ার হোসেন। এদের মধ্যে চক্রের মাস্টারমাইন্ড হলেন জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন এবং পারভেজ খান।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলছে, গত ১৯ জুলাই এসএম সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সারাদেশে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন এবং পারভেজ খানকে। পরবর্তীতে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের আরেকজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মোহাইমিনুল বাঁধনকে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে সাইবার পুলিশ, সিআইডি।

সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তারের সময় জসিম এর নিকট থেকে ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার এবং পারভেজ এর নিকট থেকে ৮৪ লক্ষ টাকার চেক উদ্ধার করা হয় যেগুলো তারা মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সংগ্রহ করে। এদের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে সাইবার পুলিশ। অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের খোঁজ পাবার পর তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা রুজু করে তাদের সকল অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা করবে সাইবার পুলিশ।

এসব আসামিদের ধরতে সাইবার পুলিশ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানগুলো নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, এএসপি সুমন কুমার দাস, এএসপি জুয়েল চাকমা, এএসপি কাজী আবু সাঈদ এবং এএসপি ফাতেমা-তুজ-জোহরা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মামলার মতো এবারও সাইবার পুলিশ যারা প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে তাদেরকে শনাক্ত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সিআইডি জানিয়েছে, এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্র চিহ্নিত করে সাইবার পুলিশ সিআইডি, সে মামলায় মূল হোতাসহ গ্রেফতার হয় ৪৭ জন। সর্বমোট ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয় যার মধ্যে ৮৭ জন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে সাইবার পুলিশ আরও একটি সক্রিয় চক্রের সন্ধান পায় যারা সরকারি মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এরপর মাঠে নামে সাইবার পুলিশ।