টিউশন ফি আতঙ্কে ঢাবির সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থীরা

ঢাবি ক্যাম্পাস

করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিও পর্যুদস্ত। এর মধ্যেই বন্যা ও নদী ভাঙনের কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের দারিদ্র্য মানুষের সংখ্যা ২০.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ শতাংশের উপরে। অর্থনীতি কবে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে তা নিয়ে সরকার এবং অর্থনীতিবিদেরা বিশ্লেষণ করছেন এবং তা থেকে উত্তরণের পথও খুঁজছেন।

এদিকে করোনায় আঘাতে ইতোমধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছন। আবার অনেকের বেতন হ্রাস পেয়েছে। যেখানে মানুষ প্রতিকূল এই পরিস্থিতির মধ্যে জীবন যাপন করতে হাজারো চিন্তায় ব্যতিগ্রস্থ। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। সেই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যাকালীন প্রোগামের শিক্ষার্থীও পড়ছেন আর্থিক সংকটে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানোর সুযোগ নেই। তবে তারা চাইলে দুইবারে ফি দেয়ার সুযোগ দেয়ার রয়েছে।

এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কোর্স ফি কমানোর জন্য আবেদন করেছিল সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে টিউশন ফি কমানোর দাবিতে চিঠি দেয়। তবুও ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ টিউশন ফি কমায়নি। বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে অবিবেচনামূলক আখ্যা দিয়ে এমন সিদ্ধান্তে তারা হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।

একইভাবে অন্য বিভাগগুলো সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলোর ব্যাপারে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, ইভিনিং এমবিএর অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা চাকরির পাশাপাশি এই কোর্স করে, যাদের অনেকে চাকরি হারিয়েছে এবং অনেকের বেতন কমেছে। এমন পরিস্থিততে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির সাহায্য কামনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের আর কোন পথ খোলা থাকবে না।

লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী