বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে গ্রেটা থানবার্গ

গ্রেটা থানবার্গ

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এক লাখ ইউরো দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সাড়া জাগানো অধিকারকর্মী গ্রেটা থানবার্গ। চলতি মাসে পাওয়া ‘গুলবেনক্যিয়া প্রাইজ ফর হিউম্যানিটি’ পুরস্কার থেকে সুইডিশ কিশোরী এই অর্থের সংস্থান করেছেন।

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করতে বাংলাদেশ ও ভারতের দুটি করে চারটি সংস্থা সমপরিমাণ অর্থ পাবে।

ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ব্র্যাকের সঙ্গে রয়েছে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, অ্যাকশনএইড ইন্ডিয়া ও পরিবেশবাদী সংগঠন ’গুঞ্জ’।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গ্রেটার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী।

তিনি বলেন, এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তহবিলের খুবই প্রয়োজন। দেশ যখন সাইক্লোন আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে এবং যখন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপার্জন ও খাদ্য-নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে, তখন এই অস্বাভাবিক দীর্ঘ বন্যা তাদেরকে নতুন করে বিপদের মুখে ফেলেছে। এই তহবিলের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পৌঁছে দিতে পারব।

চলমান বন্যা বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত করেছে এবং প্রায় ২৮ লক্ষ মানুষ এখন ক্ষতিগ্রস্ত। মৌসুমী বন্যায় ভারতে এ পর্যন্ত ১১৩ জন মারা গেছে এবং প্রায় ৬৮ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।

গত ২০ জুলাই গ্রেটা ‘গুলবেনক্যিয়া প্রাইজ ফর হিউম্যানিটি’ পুরস্কারে ভূষিত হন। যার অর্থমূল্য ১ মিলিয়ন ইউরো। এই অর্থ পুরোটাই গ্রেটা থুনবার্গ ফাউন্ডেশন জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষত ‘গ্লোবাল সাউথে’ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যয় করবে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য এই সাহায্য ঘো্ষণা।

অর্থ-সহায়তার ঘোষণা দিতে গিয়ে গ্রেটা বলে, জলবায়ু সমস্যা খুবই জরুরি একটি বিষয়। বিশেষত গ্লোবাল সাউথে বসবাসকারী মানুষেরা ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

গ্রেটা আরও বলে, দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রতিক বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ গুরুতরভাবে ভুগছে। কোভিড-১৯ মহামারী ও সাইক্লোন আম্পানে যখন তারা বিপর্যস্ত, তখনই যুক্ত হয়েছে এই দুর্ভোগ। বিশ্ব-সংবাদমাধ্যম এই বন্যাকে উপেক্ষা করে চললেও দুর্গত এই মানুষগুলোকে সাহায্য করতে আমাদের সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হবে। আমি সৌভাগ্যবান যে তাদের সাহায্য করতে নিজের পুরস্কারের অর্থগুলো এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিতে পারছি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পৌঁছে দিতে পারে।