দেশটির জনসংখ্যা ২৪০০০, ২ হাজারই বাংলাদেশি

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ, যার আয়তন ৪৬৬ বর্গকিলোমিটার। জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তায় চলা দেশটির বসবাসকারী ২৪ হাজার, যার মধ্যে দুই হাজারই বাংলাদেশি।

বাংলাদেশ ও পালাউ-এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত একটি চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের কথা জানানোর সময় এই তথ্য ‍তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আজ সোমবার (১৩ জুলাই) ভার্চুয়াল এই সভায় গণভবনে থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; বিভিন্ন মন্ত্রৗ ও সচিবরা গণভবনে থেকে যুক্ত হন।

এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় একটি ছোট্ট দ্বীপ পালাউ, যার আয়তন ৪৬৬ বর্গকিলোমিটার। জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তায় এটা চলে।

জাপানের টোকিও-তে বাংলাদেশ দূতাবাস এখন পালাউয়ের বিষয়গুলো দেখভাল করলেও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় তাতে সমস্যা হওয়ার কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারণে পালাউ-এ গিয়ে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে টোকিও মিশন অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

তিনি বলেন, পালাউ-এর জনসংখ্যা ২২ থেকে ২৪ হাজার। তার মধ্যে দুই হাজার বাংলাদেশি সেখানে কাজ করেন, এটা ইন্টারেস্টিং বিষয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পালাউ-এ থাকা বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ সুপারি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। ‍সেখানে সুপারি অনেক জনপ্রিয় আইটেম, পথেঘাটে মুড়ি, চা খাওয়ার মতো ওখানকার লোকজন দোকানে কাঁচা সুপারি খায়। এই কাজে বাংলাদেশিরা বেশি ইনভল্ব। এছাড়া সার্ফিংয়ের কাজেও বাংলাদেশিরা ইনভল্ব। সার্ফিং তাদের একটা বড় আয়ের উৎস।

ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশের সঙ্গে পালাউ-এর কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন-১৯৬১ অনুসারে বাংলাদেশ ও পালাউ গত বছরের ১৬ জুলাই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তিটি অনুসমর্থন করা প্রয়োজন। চুক্তিটি অনুসমর্থন করা হলে এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই চুক্তিটি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। এর ফলে পালাউ-এ বসবাসরত দুই হাজার বাংলাদেশির স্বার্থ সংরক্ষণ করা সহজ হবে বলেও মনে করছেন তিনি।