১২ জন ভারতীয়কে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকাতে চায় বিএসএফ

১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে চাইছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সদরের হাকর সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকা দিয়ে ওই ১২ জনকে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ।

এ ঘটনায় বিএসফের সাথে পতাকা বৈঠক করলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। ফলে সীমান্তে টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ওই ১২ জন বর্তমানে দুই দেশের শূন্যরেখায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকালে হাকর সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকা দিয়ে ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা ওই ১২ নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেন।

এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ সদস্যরা ওই ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা ওই ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক নয় জানিয়ে দেন। পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত সীমান্তের দিক থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিএসএফকে বলা হয়েছে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বিএসএফ আমাদের বলেছে তাদেরকে নেয়ার জন্য। আমরা বলেছি এভাবে আমরা নিতে পারব না, এটি অবৈধ প্রবেশ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শনিবার পতাকা বৈঠকে বলা হয়েছিল- তারা ভারতের অংশ থেকে ঢুকেছে এবং তাদের কাছে বাংলাদেশি কোনো পরিচয়পত্র নেই। যেহেতু ভারতের অংশ থেকে এসেছে, সেহেতু ধরেই নেয়া যায় তারা ভারতের লোক। এখন তারা সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয়দের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবস্থান করছেন।