৯৯৯ নম্বরে ফোন করে প্রাণ রক্ষা ১০ শিক্ষার্থীর

কিশোরগঞ্জের হাওরে পাঁচ মোটরসাইকেলে করে বেড়াতে গিয়েছিলেন গাজীপুরের টঙ্গীর ১০ জন শিক্ষার্থী। শনিবার সকালে ট্রলারে মোটরসাইকেল তুলে মিঠামইন উপজেলায় গিয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরি করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল ট্রলারে তুলে উত্তাল হাওর দিয়ে ফিরে আসছিলেন তারা।

জানা গেছে, একপর্যায়ে করিমগঞ্জ উপজেলার চংনোয়াগাঁও এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী ট্রলারের পাখাটি ভেঙে যায়। ফলে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলার ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তখন ট্রলার থেকে একজন পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন উদ্ধারে সহযোগিতা চান। পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য বার্তা দেওয়া হয় করিমগঞ্জ থানায়।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন সাংবাদিকদেরকে বলেন, বার্তা পেয়ে চামড়াঘাটের নৌ- পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হয়। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ১০ শিক্ষার্থী এবং দুই মাঝিকে উদ্ধার করে। করিমগঞ্জ থানা পুলিশ শুরু থেকে উদ্ধার অভিযান তাদারকি করে।

তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া সবাই কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। এছাড়া তাদের বাসা গাজীপুরের টঙ্গীতে বলেও জানান তিনি।

চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল ইমলাম বলেন, ১০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিফাত, তারেক, শাকিল, রাব্বি, হাশেম, রিফাত, সিয়াম ও নিশাতের নাম জানা গেছে। তাঁরা সবাই অনার্স-মাস্টার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বাসা টঙ্গীতে। হাওরের সৌন্দর্য দেখতে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলেন তারা।