‘অবিচারের শিকার’ সেই বাংলাদেশির ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে মালয়েশিয়া

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ‘মালয়েশিয়ায় অবিচারের শিকার’ হওয়ার বর্ণনা দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন রায়হান করি। এবার তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করার কথা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বদর।

দেশটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে (এফএমটি) রবিবার তিনি বলেন, ‘অভিবাসন বিভাগ থেকে ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়েছে।’ ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে শুধু বাংলাদেশ নয়, কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। ২৬ মিনিটের ভিডিওটিতে রায়হান কবির নামের এক বাংলাদেশিকেও দেখা যায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সী রায়হান মালয়েশিয়ার চোয়াক জেলায় থাকেন। এর উপস্থাপককে নিজের মোবাইলে ভিডিও দেখান তিনি। ভিডিওতে প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপের দৃশ্য ছিল। তাতে দেখা গেছে, ৬০০ মানুষকে ট্রাকে করে অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন।

রায়হানের অভিযোগ, ‘তারা ফাঁদে ফেলেছে আমাদের। ওষুধ, খাবারসহ সবকিছু দিলেও কেউই বুঝতে পারেনি গ্রেপ্তার করা হবে। তারা খুনি নয়, সন্ত্রাসী নয়। কাগজপত্রহীন অভিবাসী।’

রায়হানের অবশ্য এ ধরনের সমস্যা নেই। বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিয়েই আছেন তিনি। হৃদয় নামে তার এক বন্ধুর ওয়ার্ক পারমিট শেষ হওয়ায় পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দোষ তার নয়, তার কোম্পানি ভিসা নবায়ন করেনি। আমি ইমিগ্রেশনে গিয়েছি, পুলিশের নিকট গিয়েছি। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে সেখাানে কান্নাকাটি করেছি।’

ভিডিওতে আরেক বাংলাদেশির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তিনি ২০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আছেন। উপস্থাপককে নিয়ে তার কাছে যান রায়হান। লকডাউনের সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তার। রায়হান নিজে ইংরেজিতে কথা বললেও তিনি বাংলায় নিজের দুর্দশার বর্ণনা দেন।